চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) এর বর্জ্য মিশ্রিত বিষাক্ত পানি পান করে আবারও ১২ টি মহিষের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বারশত ইউনিয়নের পশ্চিমে গোবাদিয়া খাল এলাকায় থেকে মরা গরু–মহিষগুলো উদ্ধার করে ডিএপি সার কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় লোকজন।
পরে স্থানীয়দের দাবির মুখে ডিএপি সার কারখানার পক্ষ থেকে মৃত গরু– মহিষগুলোর মৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করতে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানা গেছে।
এই বিষয়ে উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা: শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সার কারখানার গেইটে দুইটি মহিষ পাই ওই মহিষের নমুনা সংগ্রহ করি। নমুনা রিপোর্টের ফলাফল পেলে বলা যাবে মহিষের মৃত্যুর কারণ।
জানা যায়, বিষক্রিয়ায় মো. এরফানের ১টি মহিষ, মো. ইব্রাহিমের ১টি, কাশেমের ৩টি, জহুর লাল সিংহের ১টি, মো. ছৈয়্যদ জামালের ১টি গরু, মো. একরামের ২টি মহিষ, মো. জাকেরের ১টি মহিষ, মো. কামাল হোসেনের ১টি মহিষ, মো. পারভেজের ১টি সহ মোট ১২টি গরু–মহিষ মারা যায়।
এর আগে গতবারের এপ্রিলে প্রথম সপ্তাহে ৪ টি মহিষ, ১৪ এপ্রিল বিকালে ১২টি, ২৪ এপ্রিল ১৩টি মহিষ বর্জ্য মেশানো দূষিত পানি পান করে মারা যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ জানান, সার কারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে এর আগেও বেশ কয়েকবার বিষাক্ত পানির কারণে অনেক গরু–মহিষ মারা গেছে। তিনি বলেন, আমরা বারবার স্থায়ী একটি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে আসলেও কারখানা কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি। এবারও গরু-মহিষ মারা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নির্বিকার রয়েছে। রাতে মৃত পশুগুলোর ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। বিষক্রিয়ায় মারা গেলে ক্ষতিপূরণ দিবে বলেছে ডিএপি কর্তৃপক্ষ।
সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান জানান, সিইউএফএল তিন মাস ধরে বন্ধ। কারখানা এখন উৎপাদনে নেই। আমাদের বিষাক্ত পানি বের হওয়ার প্রশ্নই উঠে না।
ডিএপি সার কারখানার মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল জানান, আমাদের কারখানা থেকে যে পানি বের হয় তাতে পশুর মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই। তারপরও মৃত পশুগুলো পোস্টমর্টেম করে দেখে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।