চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সর্ববৃহৎ হাট-বাজারের মধ্যে তৈলারদ্বীপ এরশাদ আলী সরকার হাট জিম্মি হয়ে পড়ছে শক্তিশালী একটি ইজারা সিন্ডিকেটের কাছে। ১৪৩০ বাংলা সনের উপজেলার ২০টি হাট-বাজারের ইজারা সম্পন্ন হলেও উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নে তৈলারদ্বীপ সরকার হাটের ইজারা নিয়ে চলছে নয় ছয়।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ইজারা নেওয়ার ১৫দিনের মধ্যে ইজারার টাকা পরিশোধ করার কথা থাকলেও ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পরিশোধ করা হয়নি গত বারের ইজারার প্রায় আড়াই কোটিরও বেশি টাকা। তবে টাকা পরিশোধ না করে এবারও ইজারা পাওয়ার তোড়ঝাপ শুরু করেছে গতবারের ইজারাদার জয়নাল আবেদিন হেলাল। এদিকে ইজারার টাকা পরিশোধ না করে নতুন ইজারা না পাওয়ার সঙ্কায় সিন্ডিকেট করে বৃহৎ এই সরকার হাটের ইজারা আটকাতে মরিয়ে হয়ে উঠেছে চক্রটি।
জানা যায়, উপজেলার যে ২০টি হাট-বাজার রয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বড় বাজার হচ্ছে তৈলারদ্বীপ সরকার হাট। সব চেয়ে বড় এই বাজারটি বিগত কয়েক সনের বাজার ইজরা দরপত্রের প্রথম বা দ্বিতীয় ডাকে ইজরা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। তবে অদৃশ্য ইশরায় এবারের সরকার হাট বাজারের ইজরা নিয়ে চলছে অদৃশ্য ইজরা সিন্ডিকেট। বাজারের ইজরা মূল্য রয়েছে ৫কোটি ৭১লক্ষ টাকা। তবে বাজারের এই ইজরা মূল্য কমিয়ে আনতে অদৃশ্য ইশরায় ইজরাদাররা বেঁধেছে নতুন জোট।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানা যায়, ১৪৩০ বাংলা সনের উপজেলার ২০টি হাট-বাজারের ইজরার দরপত্র আহ্বান করেছে তার মধ্যে প্রথম তাং ছিল ১৪ মার্চ খোলার আহবান ছিল ১৫মার্চ। এদিন সরকার হাটের ৮টি দরপত্র ক্রয় করা হলেও নির্দিষ্ট সময়ে কেউ দরপত্র জমা দেয়নি। দ্বিতীয় পর্যায়ে জমা দেওয়ার তাং ছিল ২১ মার্চ খোলার তাং ছিল ২২মার্চ। দ্বিতীয় পর্যায়ে একই কায়দায় দরপত্র জমা দেয়নি কেউ। তৃতীয় পর্যায়ে জমা দেওয়ার তাং ছিল ২৮ মার্চ খোলার তাং ছিল ২৯মার্চ।
টাকা বকেয়া থাকার বিষয়ে সাবেক ইজারাদার জয়নাল আবেদীন হেলাল বলে, করোনা পরিস্থিতির কারণে আমি অনেক টাকা লোকসানে ছিলাম। তাই ২কোটি’র চেয়ে বেশি টাকা আমার বকেয়া রয়ে গেছে। প্রশাসন টাকাগুলো পরিশোধ করার জন্য জোর দিলেও আমার পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। এবার টেন্ডার ফরম নিয়ে জমা না দেওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, সরকার হাটের টেন্ডার মূল্য বেশি হওয়ায় জমা দেয়নি। প্রশাসন দাম কমিয়ে দিলে জমা দিবো।
এবিষয়ে আনোয়ারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ ইসতিয়াক ইমন বলেন,বুধবার ৩য় দফায় টেন্ডার ফরম জমা দেওয়ার শেষদিন ছিলো। আজকেও সরকার হাটের জন্য কেউ ফরম জমা দেয়নি।