ঢাকা, মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ই কার্তিক ১৪৩১

ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা 'শত্রুতামূলক পদক্ষেপ': পররাষ্ট্রমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ০৪:৪৭:০০ অপরাহ্ন | আন্তর্জাতিক
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ছবি: সংগৃহীত।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বুধবার পশ্চিমা বিশ্বের নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলোকে 'শত্রুতামূলক পদক্ষেপ' হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, এই ধরনের পদক্ষেপগুলো বর্তমান আঞ্চলিক উত্তেজনা প্রশমনে কোনো সহায়ক ভূমিকা পালন করবে না, বরং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।

জর্দানের রাজধানী আম্মানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আরাগচি বলেন, 'ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নতুন নিষেধাজ্ঞাগুলো শত্রুতামূলক এবং এসব নিষেধাজ্ঞা আঞ্চলিক উত্তেজনার সমাধানে কোনোভাবেই সহায়ক হবে না।' ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ইরনার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি ২৭টি সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বয়ে ইরানি প্রতিষ্ঠান ও কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন স্থানান্তরে ইরানের অংশগ্রহণের অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যদিও তেহরান এসব অভিযোগ বারবার অস্বীকার করে আসছে।

এর আগে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের ওপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইরানের তেলশিল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরও সম্প্রসারিত করেছে। ইরান এই হামলাকে তার বিপ্লবী গার্ডের এক জেনারেলের হত্যার প্রতিশোধ বলে দাবি করে।

আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়তে থাকে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে, যখন গাজা যুদ্ধ শুরু হয়। লেবানন, ইরাক, সিরিয়া, এবং ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী এই সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে, যা ইরানের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থানকে আরও প্রভাবিত করে।

২০২৪ সালে পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টা ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের জন্য একটি অগ্রাধিকারের বিষয় হলেও, ইরান ইতোমধ্যে কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে। বুধবার আরাগচি জানান, পারমাণবিক ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ওমানের মধ্যস্থতায় চলমান মাস্কাট প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রয়েছে, তবে অন্যান্য ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, ওমান দীর্ঘদিন ধরে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা পালন করে আসছে, যদিও ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর দেশটি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে।

আরাগচির বক্তব্য ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপে থাকলেও, তারা তাদের অবস্থানে অটল রয়েছে এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।

 

বায়ান্ন/শাহেদ