ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কৃষি জমি রক্ষায় মিরসরাইয়ে কৃষকদের মানববন্ধন

জুয়েল নাগ, মিরসরাই : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১৫ জানুয়ারী ২০২২ ১০:৪১:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে শতবর্ষী ডাবরখালী খালের মুখে  ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে ঐ অঞ্চলে নোনা পানিতে দুইটি গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে,ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। পানি অপসারণ এর জন্য খাল খননের দাবিতে শনিবার (১৫  ই জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় চরশরতে  মানববন্ধন করে ভুক্তভোগীরা।

 মানববন্ধনে সাধারণ কৃষকরা উস্থিতির পাশাপাশি মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন  উক্ত ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আবু সালেহ সহ এলাকাবাসীরা  উপস্থিত ছিলেন।

 

 চরশরতের  বাসিন্দা আব্দুর রব জানান, বেপজার মাটি ভরাটের কারণে ডাবরখালী খাল দিয়ে পানি সাগরে যাচ্ছে না উজানের দিকে যাচ্ছে ফলে সাগরের নোনা পানি গ্রামে ঢুকে কৃষকের ক্ষতি হচ্ছে।  নোনা পানির কারণে আড়াই একরের জমিতে  মসুরের ডাল, ভেন্ডি, মরিচ ও সরিষা ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। আগামী ২ থেকে ৩  বছর ফসল এ জমিতে হবে কিনা তা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা।

 

 

একই গ্রামের সজল চন্দ্র দাস জানান জন্ম থেকে  দেখেছি এখান দিয়ে আমাদের উপরের জমিনের  পানি সাগরে যেত । আর এখন বেপজা  কতৃপক্ষ ভরাটের কারণে সাগরের লোনা পানি আমাদের জমিতে এসে ফসল নষ্ট করে দিয়েছে। শতবর্ষের এই খাল বালু দিয়ে ভরাট করার কারণে আমরা আজ নিঃস্ব হওয়ার পথে তাই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে উক্ত খাল খনন করে আমাদের কৃষকদের বাঁচাবেন বলে আশা করি।

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাগরের লোনা পানির কারণে খালের বিভিন্ন প্রজাতির মাছ, ব্যাঙ, সাপ মারা যাচ্ছে। নোনা পানির কারণে উৃ দূষন অন্যদিকে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে।

 

এসময় উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন,

বেপজা কর্তৃপক্ষের অপরিকল্পিত ভরাটের কারণে শতবর্ষী খালের পানি প্রবাহ বিঘ্ন হচ্ছে। যার দরুন অত্র ইউনিয়নের অনেক কৃষকের আজ দুরবস্থা।

 যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই সহসা খাল‌ খুলে দিয়ে এই দুরাবস্থা দূর করবেন।

 মানববন্ধনে  ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অনেক ত্যাগ শিকার করেছি,এখানকার মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল ওদের রুটিরুজির প্রশ্নে আপোষ করবোনা।আমরা মানববন্ধনের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান চায়।

 

বেপজা প্রকল্প পরিচালক এ শফিকুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনে উনাকে পাওয়া যায়নি।