কক্সবাজারের চকরিয়ায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সামনে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ মুজিবুল হকের উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শক্রুবার দুপুর ১২টার সময় বায়তুশ শরফ রোড়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবী করেন, চকরিয়া মজিদিয়া দারুচ্ছুন্নাহ পৌর দাখিল মাদ্রাসার সভাপতি। মাদ্রাসার জমির উপর নির্মিত কিছু দোকান রয়েছে। ওই মার্কেটের দোকানগুলো থেকে নিয়মিত ভাড়া আদায় করে ব্যাংকের একাউন্টে জমা করা হয়। ওই টাকা থেকে মাদ্রাসা ব্যয়ভার নির্বাহ করে।
সম্প্রতি মার্কেটের পাশর্^বর্তী মসজিদ কমিটির লোকজন ওইসব দোকান থেকে ভাড়া ও সেলামী দাবী করে। দাবীকৃত টাকা না দিলে ব্যবসা বন্ধের হুমকিও দেন বলে তিনি জানান।
এ ঘটনায় গত ১৮ মে তিনি বাদী হয়ে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদনন্তভার দেয়া হয় পিবিআইকে। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরির্দশনে আসেন।
এসময় তিনি ও মাদ্রাসা সুপার নুরুল আবছার সিদ্দিকী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তদন্ত কর্মকর্তার সামনে মসজিদ কমিটির সভাপতি নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর চার ভাই অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায়। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন।
পকেটে থাকা ২ লক্ষ টাকা ও একটি আংটি ছিনিয়ে নেয় বলে তিনি দাবী করেন। পরে ইউএনও ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় তিনি দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শস্তির ব্যবস্থার দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে চকরিয়া পৌরসভার কাউনিন্সলরবৃন্দ ও স্থানীয় মান্যগন্য ব্যক্তিবর্গ উপিস্থত ছিলেন।