ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ছাত্রলীগ কর্তৃক বশেমুরবিপ্রবির সমন্বয়কের উপর হামলা, ভেঙে গেছে হাত

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১ অগাস্ট ২০২৪ ০১:০৯:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে পোস্ট করার জেরে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নিঘাত রৌদ্রকে ছাত্রলীগ নেতা রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী পাভেল শিকদারের নেতৃত্বে কয়েকজন স্থানীয় মিলে মারধর করে। 
 
 
সোমবার (২৯ জুলাই) আনুমানিক বিকাল ৪  টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইনগেট সংলগ্ন বালুর মাঠ মার্কেটে এই ঘটনা ঘটে।
 
 
মারধরের ঘটনায় রৌদ্রের বাম হাত (আলনা) ভেঙে গেছে। তবে ডিসপ্লেসমেন্ট হয়নি। তার দুই পা এখনও জখম হয়ে আছে। হাঁটতে পারছেন না।
 
 
এই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে পোস্ট করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনের দেয়ালে লেখালেখির জেরে নিঘাত রৌদ্র বালুর মাঠে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য গেলে পাভেল শিকদারের নেতৃত্বে কয়েকজন মিলে তাকে ধরে নিয়ে মার্কেটের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে দিয়ে মারধর করে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পুলিশের সহায়তায় তাকে সেখান থেকে  উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে তাকে ভর্তি করান। 
 
 
 
এই বিষয়ে নিঘাত রৌদ্র বলেন,” আমি বশেমুরবিপ্রবি’র কোটা সংস্কার আন্দোলন করায় এবং আন্দোলন নিয়ে পোস্ট করায় আমার উপর হামলার ঘটনা ঘটে। আমি খাবার খাওয়ার জন্য বালুর মাঠে গেলে বশেমুরবিপ্রবির ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমের পরিকল্পনায় ছাত্রলীগ কর্মী পাভেল শিকদারের নেতৃত্ব দশ বারোজন মিলে আমাকে ধরে ঝোপের মধ্যে নিয়ে মারধর করতে থাকে। পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।”
 
 
তিনি আরো বলেন, “মারধরের সময় তারা আমাকে বলে আমি যেনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনো প্রকার আন্দোলনের চেষ্টা না করি এবং কোনো প্রকার পোস্ট না করি এমন নানা হুমকি প্রদান করে গোপালগঞ্জ ছাড়তে বলে। এছাড়াও ইতিপূর্বে পাভেল শিকদার ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি সুষ্মিতা  আপুকে ধর্ষণের হুমকি দেয়।”
 
 
আজ রৌদ্রের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,  হাঁটতে পারলেই তিনি আন্দোলনে নামবেন, যেখানে আছেন, সেখান থেকেই নামবেন। তিনি সম্পূর্ণভাবে আন্দোলনের পক্ষে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছেন এবং সকলকে হতাশামুক্ত, ভয়মুক্ত হয়ে এবং শিড়দাড়া শক্ত করে আন্দোলনে নামার আহ্‌বান এবং অনুরোধ জানিয়েছেন। এটা এই বঙ্গের সর্ববৃহৎ গণঅভ্যূত্থান এবং এই অঞ্চলে কোনো গণঅভ্যুত্থান বিফল হয় নি। জনগণের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।