প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করে দেশত্যাগের ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সম্প্রীতি ও আনন্দমিছিল করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবিতে তাঁরা এক ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে মিছিল বের করেন তাঁরা। মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় লোকজন অংশ নেন। মিছিলটি প্রধান সড়ক দিয়ে প্রধান ফটকসংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে গিয়ে শেষ হয়।
বেলা তিনটার দিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় লেনে অবস্থান নেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে জরুরি পরিষেবার বাহন স্বাভাবিক ছিল। পরে ৩টা ৫৫ মিনিটে তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আবদুর রশিদ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্বৈরাচার শাসকের পতন হয়েছে। এই দেশের মানুষের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে অতি দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রয়োজন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ড. ইউনূসকে উপদেষ্টা করে যে সরকারের রূপরেখা দিয়েছেন, তা অতি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আরেক সমন্বয়ক আহসান লাবিব বলেন, ‘আমাদের এই বাংলাদেশ হবে সাম্প্রদায়িকমুক্ত। এখানে কোনো হত্যা হবে না, জুলুম হবে না, অত্যাচার হবে না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হবে। দেশের ছাত্র-জনতা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে গণ-অভ্যুত্থান ঘটিয়েছেন, তা বাস্তবায়ন করতে হলে দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামালউদ্দিন বলেন, ১৯৫২ সাল থেকে ছাত্রদের যে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়, তার মধ্যে এই প্রথম অরাজনৈতিক ছাত্রদের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থান ঘটেছে। ছাত্ররা অতি দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দাবি জানিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রতীকী অবস্থান নিয়েছেন। তাঁদের সংগ্রামের ফসল যাতে বেহাত না হয়, তার জন্য তাঁরা আন্দোলন করছেন। ছাত্রদের সঙ্গে তাঁরা শিক্ষকেরা সংহতি জানিয়েছেন।