রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছে অস্ট্রেলিয়া। দেশ দুইটির যুদ্ধ ভয়াবহ রূপ নিলে বা পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করলে ওই নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখা দিতে পারে অস্ট্রেলিয়ায়। তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দেশটির সরকার সার্বক্ষণিক সতর্ক রয়েছে। নজরদারি রাখছে যুদ্ধের গতিবিধির উপর।
দৈনিক বায়ান্নকে ওইসব তথ্য জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে বসবাসরত সিলেটের প্রবাসী সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন সিহাব। ১২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেল সোয়া পাঁচটায় দৈনিক বায়ান্নকে সাক্ষাতকার দেন সিহাব।
সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক কোষাধক্ষ্য শাহাব উদ্দিন সিহাব জানাচ্ছিলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার সরকার সংসদ অধিবেশন আহ্বান করে। ওই অধিবেশনে দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনার ভিত্তিতে দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতে পরিকল্পনা নেয়া হয়। এই পরিকল্পনার কারণে অস্ট্রেলিয়ায় এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে কিছুটা উঠানামা করে। পরক্ষণেই তা আবার স্বাভাবিক হয়ে যায়।
সিলেট ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সিহাব জানান জ্বালানী তেলের উপর কিছুটা প্রভাব পড়েছে। আগে প্রতি লিটার পেট্রল ও অকটেনের মূল্য ছিল এক ডলার ২০ সেন্ট। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পেট্রল ও অকটেনের মূল্য হয়েছে দুই ডলার। বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রতি লিটার জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায ৭০ টাকা। জ্বালানী তেলের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, দুই বছরের করোনার কারণে অর্থনৈতিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সাথে চীনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। চীনের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার দ্বার বন্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। উচ্চ শিক্ষা অর্জনে চীনের শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারছে না। এছাড়া চীন থেকে কিছু পণ্য আমদানী বন্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বন্ধু চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নে সচেষ্ট হয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। তবে এটা নিশ্চিত করে বলা যায় যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার হলে বেকায়দায় পড়বে অস্ট্রেলিয়া। অন্যথায় অস্ট্রেলিয়ার অবস্থা স্বাভাবিক আছে, স্বাভাবিক থাকবে জানালেন সাংবাদিক সিহাব।