ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

পোশাকসহ সব পণ্য রপ্তা‌নি‌তে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা কমলো

অর্থনীতি ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৪ ১২:১৮:০০ পূর্বাহ্ন | অর্থনীতি ও বাণিজ্য

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও কৃষিসহ সব ধরনের পণ্য রপ্তা‌নি‌তে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা কমানো হয়েছে। খাতভেদে ০ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত এই সহায়তা কমেছে।

 

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

 

এতে বলা হয়, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪৩টি খাতে রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদান করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে বিষয়টি রপ্তানি নির্ভর সাবসিডি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা প্রদান করা যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। এরূপ উত্তরণ পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে হ্রাসের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

নতুন নির্দেশনায় তৈরি পোশাক খাতে ০ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন পোশাক রপ্তা‌নিকারকরা; যা আগে ছিল ১ শতাংশ। এ ছাড়া চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ, পাট পণ্যে ভর্তুকি ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ১০ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

 

পাশাপাশি নীট, ওভেন ও সোয়েটারসহ তৈরি পোশাক খাতের সব ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা ৪ শতাংশই বহাল আছে। তবে নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, রপ্তানি সহায়তা কমানোর চেয়ে বড় সমস্যা হলো কয়েকটি ক্যাটাগরির পণ্য সহায়তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পোশাক খাত ধ্বংস করতে কেউ কেউ পাঁয়তারা করছে।আমি মনে করি, তাদের পরামর্শে এই সিন্ধান্ত। বিষয়টি আমরা সরকারকে জানাব।