নতুন বছরের শুরুতে মাত্র ছয়দিনের ব্যবধানে আবারও মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকালে দেশটি এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। এদিকে পিয়ংইয়ংয়ের নিক্ষিপ্ত এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যালিস্টিক মিসাইল হতে পারে বলে জানিয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া।
এর আগে গত ৫ জানুয়ারি বছরের প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা হিসেবে পারমাণবিক শক্তিধর এই দেশটি নিজের পূর্ব উপকূলে হাইপারসনিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছিল। এক সপ্তাহের মধ্যেই মঙ্গলবার দেশটি দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স, সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘উত্তর কোরিয়া একটি সন্দেহজনক ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে বলে আমাদের সামরিক বাহিনী শনাক্ত করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২৭ মিনিটে ভূমি থেকে নিজের পূর্ব উপকূলে ব্যালিস্টিক মিসাইলটি নিক্ষেপ করে পিয়ংইয়ং।’
এদিকে উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইল নিক্ষেপের বিষয়টি জাপানের কোস্টগার্ডও শনাক্ত করেছে। তারা এই মিসাইলটিকে ‘ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের মতো’ বলে উল্লেখ করেছে। এছাড়া পিয়ংইয়ংয়ের এই মিসাইল নিক্ষেপের পরপরই জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘উত্তর কোরিয়া মিসাইল নিক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এটি খুবই নিন্দনীয়।’
গত বছরের শেষের দিকসহ সাম্প্রতিক মাসগুলোতে কয়েক দফায় পরীক্ষামূলকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে উত্তর কোরিয়া। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও রয়েছে। এসব পরীক্ষার মধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ অমান্য করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পারমাণবিক অস্ত্রের মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি ও উৎক্ষেপণের বিষয়েও উত্তর কোরিয়ার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে সেই নিষেধাজ্ঞা আমলে না নিয়ে গত বছরের মতোই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল উত্তর কোরিয়া।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, গত বছরের অক্টোবর মাসের শুরুতে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর আগে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিসম্পন্ন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম পরীক্ষা চালায় দেশটি। এছাড়া গত সেপ্টেম্বর মাসে পৃথকভাবে ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোরও অভিযোগ ওঠে পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে।