করোনাভাইরাসের সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের দাপটে কাঁপছে বিশ্ব। এর মধ্যেই শুক্রবার বিশ্বজুড়ে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৩৫ লাখ ৬৯ হাজার ৬১০ জন, আর এ রোগে এই দিন মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৮৯১ জনের।
আক্রান্ত-মৃত্যুর এই হার আগের দিন বৃহস্পতিবারের চেয়ে কিছু বেশি। ওই দিন বিশ্বে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৪ লাখ ৫৯ হাজার ও এ রোগে মৃতের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮৫৭ জন।
২০২০ সালে মহমারি শুরুর পর থেকে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ তথ্য প্রকাশকারী ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্স জানিয়েছে এ তথ্য। ওয়েবসাইটটির পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে আরও জানা গেছে, শুক্রবারের পর বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বর্তমানে ৩৪ কোটি ৬৭ লাখ ২৩ হাজার ১৯৩ জন এবং মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০২ জন।
মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনায় মোট আক্রান্ত ও মৃতের হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র; গত কয়েক মাস ধরে দৈনিক সংক্রমণ-মৃত্যুও সবচেয়ে বেশি ঘটছে সেখানে। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার দেশটিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫১২ জন এবং এ রোগে মারা গেছেন ২ হাজার ৭৭৪ জন।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশে এই দিন সংক্রমণ-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে, সে দেশগুলো হলো- ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ৪ লাখ ৮৫১ জন, মৃত ২৩৩ জন), ভারত (নতুন আক্রান্ত ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৪৫৮ জন, মৃত ৪৮৯ জন), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ১০৬ জন, মৃত ৩৭৩ জন), ব্রাজিল (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮২০ জন, মৃত ৩৯৬ জন), স্পেন (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪১ হাজার ৯৫ জন, মৃত ১৪২ জন), জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৩৪ জন, মৃত ১৭৫ জন), আর্জেন্টিনা (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ১৮ হাজার ১৭১ জন, মৃত ১৬০ জন) এবং ব্রিটেন (নতুন আক্রান্ত ৯৫ হাজার ৭৮৭ জন, মৃত ২৮৮ জন)।
বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৭৯ হাজার ৫৫৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে কোভিডের মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ৬ কোটি ৪৪ লাখ ৮৩ হাজার ৫৫৫ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৯৫ হাজার ৯০০ জন।
এছাড়া শুক্রবার করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ১৪ হাজার ৫৭৬ জন। এই নিয়ে মহামারির গত দ্ইু বছরে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে মোট ২৭ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৬ জনে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।