সংসদ সদস্য এম. এ লতিফ বলেছেন, আমাদের কিছু আমলা বঙ্গবন্ধুকন্যা যেটা চায় তার উল্টোটা করছেন। আমার মনে হয় জ্ঞানের স্বল্পতার জন্য তারা এরকম করেন। তারা ব্যবসায়ীদের যে চোখে দেখেন, তাদের এই চোখের দৃষ্টি সোজা করতে হবে। এ দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে ব্যবসায়ীরা এবং আমদানি কমানোর চেষ্টা করে ব্যবসায়ীরা। যাতে বৈদেশিক মুদ্রা চলে না যায়। ব্যবসায়ীরা এখানে নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন করছেন। আবার এসব পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন।
তিনি বলেন, ট্যাক্স, ভ্যাট এবং শুল্ক দেয় ব্যবসায়ীরা। আর কথা বলেন সরকারি ওই কর্মচারীরা। যাদের জাতীয় অর্থনীতিতে কোনো অবদান নেই। এখন সবগুলো কমিটি কর্মচারী দ্বারা গঠিত হয়। আমি জিজ্ঞাস করেছি, আপনারা সাতজনের কমিটি করলেন যারা ট্যাক্স দেন তারা কোথায়? তারা বলে সরকারের পক্ষে আমরা। আমি বলেছি, তোমরা সরকার নও, তোমরা সরকারের অংশ। তাদের এমন আচরণ হয়েছে আমাদের নেতৃত্বের দুর্বলতার কারণে, সেটি পলিটিক্যাল হোক কিংবা ট্রেড বডির কারণে হোক।
অউঠঊজঞওঝঊগঊঘঞ
সোমবার (১৭ জুলাই) রাতে হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউতে এফবিসিসিআইয়ের (২০২৩-২৫) নির্বাচনকে সামনে রেখে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির যাত্রায় বন্দর নগরীর তাৎপর্য শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেল।
এ সময় এম. এ লতিফ ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ প্যানেলের সদস্যদের পরিচিত করিয়ে দিয়ে বলেন, আমরা আশা করব আগামী দিনে ব্যবসায়ীদের অপমানিত করা, খাটো করে দেখা এ চোর হিসেবে গণ্য করার দুঃসাহস যে কর্মকর্তা দেখাবেন, এই এফবিসিসিআই, চট্টগ্রাম চেম্বারসহ সমগ্র দেশের ব্যবসায়ীরা ওই অফিসারকে ঘেরাও করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এই ব্যবসায়ীদের ডানায় ভর করে। সরকারি কোনো কারখানায় লস দেওয়ার জন্য এবং সরকারি কোষাগারের লাখ লাখ হাজার হাজার কোটি লস করার জন্য কোনো কর্মকর্তাকে আজ পর্যন্ত কারাগারে যেতে হয়নি। তাদের বাড়িঘর নিলাম হয়নি। ব্যাংক তাদেরকে খেলাপি হিসেবে ঘোষণা করেনি। এফবিসিসিআইয়ের ভবিষ্যৎ নেতারা ব্যবসায়ীদের এসব বিষয় দেখবেন। আপনার ব্যবসায় ক্ষতি হবে এবং ইনকাম ট্যাক্স অফিসার আসবে এ ভয় যদি থাকে এবং আপনার সীমাবদ্ধতা নিয়ে সারা দেশের ব্যবসায়ীদেরকে ক্ষতি করবেন না। আপনার পিঠ বাঁচানোর জন্য সারাদেশের ব্যবসায়ীদের বেত্রাঘাত করাবেন না। এরকম যাদের ইচ্ছা আছে তাদের নেতৃত্বে আসার দরকার নেই।
তিনি বলেন, মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দর হচ্ছে, যেটি অনেক দেশে নেই। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ম্যাজিকের মতো ঘুরাতে থাকবে। আমাদের এখন আর ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের প্রয়োজন হবে না। আমাদের জাহাজগুলো কনটেইনার নিয়ে সরাসরি আমেরিকা-ইউরোপসহ যেকোনো গন্তব্যে যাবে। মাতারবাড়িতে পাওয়ার হাব হয়েছে। এখানে একটি নয় তিনটি পাওয়ার প্ল্যান্ট হতে যাচ্ছে। দুটি মোটামুটি উৎপাদন পর্যায়ে চলে এসেছে।