দেশব্যাপী গণটিকা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎসবমূখর পরিবেশে করোনার প্রথম ডোজের গণটিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল থেকেই প্রতিটি টিকা কেন্দ্রে আগ্রহী টিকা গ্রহীতাদের ছিলো সরব উপস্থিতি। এই কার্যক্রমের আওতায় ১২-১৭ বছরের জনগোষ্ঠীকে ফাইজার টিকা এবং ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীকে সিনোভ্যাক টিকা প্রদান করা হয়েছে।
শনিবার সকালে জেলা শহরের শিমরাইলকান্দি বিএডিসি কার্যালয় চত্বরে পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডসহ জেলার ৩০৬ টি ওয়ার্ডে টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। এসময় টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের সাথে কথা হলে তারা জানান, অনেকেই রয়েছেন যারা টিকা গ্রহনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেও টিকা গ্রহনে কোন ম্যাসেজ পাচ্ছিলেন না। এতে করে তাদের সমস্যা হচ্ছিল। তবে গণটিকা কার্যক্রমে এ ধরণের প্রতিবন্ধকতা না থাকায় তারা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যে টিকা গ্রহন করতে পেরেছেন। কার্যক্রম উদ্বোধনকালে পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, ভ্যাকসিনেটর সুপারভাইজার মুহাম্মদ নুরুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মত একরাম উল্লাহ্ জানান,'স্থায়ী কেন্দ্রগুলোর পাশাপাশি গণটিকার কেন্দ্রগুলোতে ১২ বছর বয়স থেকে শুরু করে তদূর্ধ্বরা টিকা গ্রহন করেছে। গণটিকা কার্যক্রমে রেজিস্ট্রেশনের পাশাপাশি রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ব্যক্তিরাও প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন।'
জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম জানান, 'কর্মসূচীর আওতায় জেলায় প্রায় এক লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এর দ্বিগুন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গণটিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবেনা সেখানে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে টিকা দেয়া হবে।