ঢাকা, শনিবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

ভারতে যে মন্ত্রীরা ভোটের লড়াইয়ে হারলেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : বুধবার ৫ জুন ২০২৪ ০৭:১৫:০০ পূর্বাহ্ন | আন্তর্জাতিক

ভারতে ১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা চলছে। এটি বিশ্বের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় নির্বাচন। গত ১৯ এপ্রিল থেকে ১ জুন পর্যন্ত সাত ধাপে চলা এই নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় ৯৭ কোটি। আর লোকসভার ৫৪৩ আসনের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৮ হাজার ৩৬০ জন।

 

প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বে সরকার গঠিত হবে এটা অনুমান করা হচ্ছিলো আগে থেকেই। ফলেও সেটাই সত্যি হয়েছে। তবে বুথফেরত জরিপগুলোর অনেক হিসাবনিকাশই উড়ে গেছে ফুৎকারের মতো। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্টতা তো পায়ইনি, বরং অনেক আসন হারিয়েছে। শুধু তাই নয়, মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যও মুখ থুবড়ে পড়েছেন ভোটের ময়দানে।   

 

এবার ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে জয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গড়করি, পর্যটনমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি, ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মান্দাভিয়াসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী।

 

তবে সামনের সারির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বেশ কয়েকজন মুখ থুবড়ে পড়েছেন। উত্তর প্রদেশের আমেথিতে হেরেছেন সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।  তিনি হেরেছেন কংগ্রেসের কিশোরীলাল শর্মার কাছে। ভোটের ব্যবধান ১ লাখ ৬০ হাজার।

 

ইলেকট্রনিক ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী রাজিব চন্দ্রশেখর হেরেছেন কেরালার থিরুভানানথাপুরমে। কংগ্রেসের শশী থারুরের কাছে ১৬ হাজার ভোটে হেরেছেন তিনি।

 

আবাসন ও নগর বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কৌশল কিশোর মোহনলালগঞ্জ লোকসভা আসনে হেরেছেন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থী আর.কে. চৌধুরীর কাছে। তাদের ভোটের ৭০,২৯২।

 

ভারী শিল্প বিষয়কমন্ত্রী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেন্দ্র নাথ পান্ডে ২১ হাজারের বেশি ভোটের ব্যধানে চান্দৌলি লোকসভা আসনে হেরেছেন সমাজবাদী পার্টির বীরেন্দ্র সিং-এর কাছে।

 

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় ​​মিশ্র টেনি, যার ছেলে ২০২১ সালের অক্টোবরে লখিমপুর খেরিতে সহিংসতার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল, তিনি সমাজবাদী পার্টির উৎকর্ষ ভার্মার কাছে ৩৪ হাজার ভোটে হেরেছেন। লখিমপুর খেরি লোকসভা আসনে এই পরাজয়ে শিকার হন টেনি।

 

পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া লোকসভা আসনে হেরে গেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীর কাছে প্রায় ৩৩ হাজার ভোটে হারেন তিনি।

 

কেন্দ্রীয় উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী এবং বর্তমান সাংসদ অর্জুন মুণ্ডা ঝাড়খণ্ডের খুন্তি লোকসভা আসনে কংগ্রেস প্রার্থী কালীচরণ মুণ্ডার কাছে প্রায় দেড় লাখ ভোটে হেরেছেন।

 

সার ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভগবন্ত খুবা বিদরে কর্ণাটকের মন্ত্রী ঈশ্বর খন্ড্রের ছেলে সাগর খন্ড্রের কাছে পরাজিত হয়েছেন।

 

কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী কৈলাশ চৌধুরী রাজস্থানের বারমেরে গেরেছেন। ভোটের ব্যবধান প্রায় সাড়ে চার লাখ।

 

মৎস্য, পশুপালন ও দুগ্ধ পালনের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী এল মুরুগান পরাজিত হয়েছেন তামিলনাড়ুর নীলগিরিস আসনে। ডিএমকে’র বিজয়ী প্রার্থীর সঙ্গে তার ব্যবধান ২ লাখ ৪০ হাজার ভোটের।

 

কোচবিহার লোকসভা আসনে হেরেছেন বিজেপির নেতা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিসিথ প্রামাণিক।  টিএমসির জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়ার কাছে ৩৯ হাজার ভোটে হেরেছেন তিনি।

 

পশুপালন, মৎস্য ও ডেইরি বিষয়ক  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সঞ্জীব বলিয়ান মুজাফফরনগর লোকসভা আসনে সমাজবাদী পার্টির হরেন্দ্র সিং মালিকের কাছে ২৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন। সূত্র: এনডিটিভি।