আনোয়ারায় মামলা তুলে না নেওয়ায় মোঃ মোখতার (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই এলাকার শহিদুল ইসলাম ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদ মিয়া বাপের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় মোখতারের বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটতরাজ চালানো হয়। ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মোখতারের পরিবারের সঙ্গে শহিদুল ইসলামের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে হামলার ঘটনায় থানায় মামলাও চলমান রয়েছে। ওই মামলা তুলে নিতে শহিদের লোকজন বিভিন্ন সময়ে মোখতারকে হুমকি দেয়। কিন্তু মোখতার মামলা তুলে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। সোমবার বিকেলে মোখতার হুমকির বিষয়টি থানার ওসিকে অবহিত করে বাড়ি পৌঁছলে শহিদ ও তাঁর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মোখতারের ঘরে হামলা চালায়। এবং ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে স্থানীয়রা এসে মোখতারকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।
হামলার শিকার মো.মোখতার জানান, চেয়ারম্যানের ভাই শহিদ লোকজন নিয়ে আমার বাড়ির সামনে বেড়িবাঁধে মদ ও জুয়ার আসর বসাতো। তাতে আমি বাধা দেওয়ায় তারা আমার পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করায় আমাকে ও পরিবারের লোকজনকে তারা হুমকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি আমি ভূমিমন্ত্রী মহোদয় ও থানার ওসিকে জানিয়েছি। এ কারণে চেয়ারম্যানের ভাই শহিদ,ইলু ও ভাতিজা জিশানের নেতৃত্বে জালাল,জামাল,গিয়াস,নেজামসহ লোকজন নিয়ে আমার ঘরে হামলা চালায়। তারা ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হবে।
থানা সূত্রে জানা যায়, মোখতারের উপর হামলার ঘটনায় ইতিপূর্বে একটা মামলা কোর্ট চলমান রয়েছে। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের ধারা হুমকি পেয়ে থানায় আরেকটি অভিযোগ করে মোখতার।
এ বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছান বলেন, গতকাল জুঁইদণ্ডী এলাকায় মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনোব্দি থানায় অভিযোগ হয়নি।