আমরা বেঁচে থাকার জন্য প্রতিদিন কিছু না কিছু খাবার খাই। চিন্তার বিষয় যে, খাবারের নামে আমরা কি খাচ্ছি? ভেজাল আর ভেজালে আমাদের পেট সয়ে গেছে। তাই এখন আসল আর নকলের পার্থক্য খুুঁজি না। কেউ নিজে থেকেই, কেউবা অপরের দেখাদেখি আবার কেউবা বাধ্য হয়েই ভেজাল বা কুখাদ্য খেয়ে চলছি। কুখাদ্য বলতে যা স্বাস্থ্যসম্মত বা মানসম্মত নয়। সম্প্রতি জামালপুর সদর উপজেলার দিগপাইত উপ-শহরে ১৩ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। আদালত চলাকালে এ উপ-শহরের শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা গা ঢাকা দেন। এতে সহজেই বোঝা যায়, ব্যবসায়ীদের অনেক গলদ রয়েছে। তবুও এ কারণে ব্যবসায়ীরা অনেকটাই সতর্ক হয়েছেন। রোজার মাসকে সামনে রেখে মজুদদার, কালোবাজারি ও মুনাফাখোরীদের পোয়াবারো। তারা তাদের অপতৎপরতা বা আখের গোছাতে সদা সচেতন। দেখতে দেখতে পবিত্র মাহে রমজান এসেই গেল। প্রত্যেক মুসলমান ভাই-বোন রোজা রাখার চেষ্টা করে। সাধ্যমত সবাই অপেক্ষাকৃত ভালো খাবার খাওয়ারও চেষ্টা করে। তাই রোজাদাররা যাতে পবিত্র এ মাসে হালালের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ও মানসম্মত খাবার খেতে পারে। এ কথা মাথায় রেখে পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। একজনের জন্য যাতে অন্যজনের রোজা পালনে সমস্যা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষ করে দিনের বেলায় হোটেল ও রেস্তোরা বন্ধ রাখতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে জনসম্মুখে পানাহার থেকে বিরত থাকতে হবে। এমনও নজির আছে অন্য ধর্মের লোকেরা রমজানের সম্মানে জনসম্মুখে পানাহার করে না। অথচ এক শ্রেণীর মুসলমান ওপেন সিক্রেট পানাহার করে থাকে। যা রোজাদারদের জন্য কষ্টের বিষয়। তাই রোজার মাসে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে।
কামরুল হাসান: (লেখক: সাংবাদিক ও ডিরেক্টর- বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাব, ঢাকা এবং সাবেক শিক্ষক ও এনজিও কর্মকর্তা)