পাহাড়ে বর্তমানে ত্রাণ তৎপরতা নেই বললেই চলে। অথচ গত বছর এমন পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারিভাবে ত্রাণ দেওয়া নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল। নগদ অর্থ থেকে শুরু করে চাল ডাল তেল চিনি পেঁয়াজসহ যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় ও ভোগ্যপণ্য পৌঁছে গিয়েছিল হতদরিদ্র, গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে। জনপ্রতিনিধি, শিল্পপতি ব্যবসায়ী ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন গুলো অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেয়।
গত বছরে পাহাড়ে বিভিন্ন সোর্স থেকে ত্রাণ নিয়ে হাজির হত অসহায় মানুষের দ্বারে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ত্রাণ সহায়তার চিত্র প্রতিদিন উঠে আসত। কিন্তু এবারে পাহাড়ের চিত্রটা একেবারেই ভিন্ন।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে অসহায় মানুষগুলো নিরুপায় হয়ে পড়েছে।
তেমনি চিত্র দেখা গেছে নানিয়ারচর বুড়িঘাট ১নং টিলার বাসিন্দা পাখী বেগমকে।সে অতি দরিদ্র জীবন যাপন করছেন,তার মত পাহাড়ে অনেক অসহায় মানুষ জীবন যাপন করছেন,তারা এই রমজানে সেমাই চিনি তো দূরের কথা ঠিক মত সেহেরি বা ইফতারে জুটবে কিনা জানা নেই। ছোট্ট একটি ঘরে বসবাস পাখী বেগমের।ছেলে থাকলেও এখন তা আর পাশে নেই ,বৃদ্ধ বয়সে অন্যের সাহায্য নিয়ে চলতে হচ্ছে । তাই এই রমজানে ভালো থাকার জন্য সরকারি সাহায্য সহযোগিতা বা উচ্চবিত্তদের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।
স্থানীয় এক মুরব্বি হারুন জানান, তিনি বয়স্ক ভাতা পেলেও তা দিয়ে তিনমাস চলা কঠিন।ওনাকে রমজান মাসে কিছু ইফতার বা সেহেরির ব্যবস্থা করে দিলে ভালো হত,সে যেন এই রমজান মাসে একটু ভালো থাকতে পারে সেজন্য প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।
সরজমিনে দেখা যায়,মাহে রমজান মাসে পাখী বেগম একজন রোজাদার বৃদ্ধ মহিলা।তবে তার ঘরে যে চলার মত খাবার নেই। পাখি বেগম বলেন,আমি অসুস্থ,পাড়ায় যে কারো সাহায্য নিব চলাফেরা তেমন করতে পারি না।আমাকে একটু সাহায্য করেন,বরকতের মাসে রোজা থাকছি। সেহেরিতে খাবার না পেলে রোজা রাখতে পারব না।খোদা তায়ালা আপনাদের মঙ্গল করবে।