রাজধানীর উত্তরার রাজউক স্কুল এন্ড কলেজের অভিভাবকরা অধ্যক্ষ ও অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে রাজউকের মূল ফটকে মানববন্ধন করেছেন। এ সময় তারা অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের নানা রকমে অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মূলক স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে অভিভাবকরা বলেন, জানুয়ারী ২০২৪ সালে যে সকল শিক্ষার্থী নবম শ্রেণীতে নতুন কারিকুলাম নিয়ে পড়তে শুরু করে, আগষ্টের অভ্যুত্থানের পরে সরকার বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় ২০২৬ সালের এস.এস.সি. পরীক্ষার ঘোষনা দিলে একই বছর ২ (দুই) টা কারিকুলাম নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিপাকে পড়ে যায়। এই অবস্থায় রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সদ্য বিদায় নেয়া অধ্যক্ষ মহোদয় একটি এমটি পরীক্ষার মাধ্যমে সাইন্স ও কমার্স বিভাগ বিভাজনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সে মোতাবেক সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে অক্টোবর ২০২৪ এম টির ফলাফল অনুযায়ী পছন্দের বিভাগ নির্বাচন ও রেজিষ্ট্রেশন ফি জমা দান করিয়া রেজিষ্ট্রেশন কার্য সম্পাদন করা হয়। শিক্ষার্থীরা নতুন নিয়মে এবং প্রাপ্ত বিভাগ অনুযায়ী অদ্যবদি শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। মাত্র ২২ কার্যদিবস ক্লাস করার পর ১০০ মার্কের বার্ষিক পরীক্ষা হয়, যে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা প্রশ্ন পত্রের ধরণ সম্বন্ধে বুঝতে অনেকেই হিমশিম খায়, তথাপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কনভার্ট মার্ক ছাড়া ও কনভার্ট মার্কসহ পাশকৃত বা উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের পছন্দনিয় বিভাগে পড়তে না দিয়ে জোর পূর্বক কমার্স (ব্যবসা শিক্ষা) চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও পূর্ববর্তী ঘোষনা অনুযায়ী (পূর্ববর্তী অধ্যক্ষর) ঘোষনা মতে বার্ষিক পরীক্ষা কোন ভাবেই বিভাগ নির্ধানের মান দন্ড হতে পারেনা, কারণ পূর্বেই এম টি পরীক্ষার মাধ্যমে বিভাগ নির্ধারিত হয়েছিল। উত্তরা মডেল কলেজের দিবা শাখার বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে কোন ব্যবসা শিক্ষার সেকশন ছিলনা। এখন প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক বাণিজ্য বিভাগে (ব্যবসা শিক্ষা) পাঠিয়ে দিয়ে বাহির থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির পাঁয়তারা করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। যা কোটি টাকা ভর্তি বাণিজ্য ছাড়া আর কিছুই না।
এমতাবস্থায় শিক্ষাবোর্ড ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বিনীত ভাবে অনুরোধ জানিয়ে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগে পড়ার ব্যবস্থা করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের আবেদন জানান অভিভাবকরা।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএইচ