সোমবার ( ৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে রামগড় থানা পুলিশ খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতাল ৪ তারিখে ভিকটিমের পরিবারের কাছে লাশ।
নিহতরা হলেন স্ত্রী পিংকি আক্তার (২৫) ও তার ৪ মাসের শিশু কন্যা। এই দম্পতির দুইজন কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘাতক স্বামী মোহাম্মদ সোলেমান (২৯) পেশায় একজন রাজ মিস্ত্রী।
সে পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর এলাকার মোহাম্মদ জাহের মিয়ার ছেলে। নিহত পিংকি আক্তার একই এলাকার আব্দুল খালেক দুলালের মেয়ে।
নিহতের ভাই ইমরান হোসেন সুজন জানান, তার ঘাতক ভগ্নিপতি পরকীয়ায় জড়িত। এ নিয়ে বোনের সাথে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। গত বৃহস্পতিবার হত্যাকারী তার বড় মেয়ে সুলতানা (৪) কে এক আত্মীয়ের বাড়ি নোয়াখালীতে রেখে আসে এবং গত শুক্রবার কোন এক সময়ে আমার বোন ও তার শিশু কন্যাকে হত্যা করে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়।
কয়েকদিন বোনের খবর না পেয়ে আজ তাদের বাড়িতে আসি। তখন ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়দের খবর দেই। পরে তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করলে বোন এবং ভাগ্নির গলাকাটা লাশ কম্বলে পেচানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি।
নিহতের ফুফু বিবি কুলছুম জানান, ঘাতক সোলেমান নোয়াখালীতে তার এক মামাতো বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয়। অভাবের সংসারে পরকিয়া নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই মতবিরোধ লেগে থাকতো।
খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ সুপার জানান, পারিবারিক সমস্যার কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ অর্ধগলিত অবস্থায় লাশ দুটি আসামীর ঘর থেকে উদ্ধার করেন। তবে আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে রামগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।