ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রায়পুরে প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়ান নারী! রাসেলের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ

মো.ওয়াহিদুর রহমান মুরাদ, লক্ষ্মীপুর : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৮ মার্চ ২০২২ ০৭:৫৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ফেসবুকে পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, প্রেম। আর সেই প্রেমের টানে লক্ষ্মীপুরে ছুটে এসেছেন এক ইন্দোনেশিয়ান তরুণী। তার নাম ফানিয়া আইপ্রোনিয়া। সোমবার (৭ মার্চ) বিকেলে ইন্দোনেশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামে প্রেমিক রাসেল আহমেদের বাড়িতে।

এ ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। আশেপাশের মানুষ ভীড় করছে বিদেশিনিকে দেখার জন্য। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে রায়পুরের রাখালিয়া গ্রামে রাসেল আহমেদের বাড়ি গিয়ে দেখা যায় রাসেলের পরিবারের সঙ্গে গল্প করছেন ফানিয়া।

ফানিয়া ইন্দোনেশিয়ার দিপক এলাকার পাউদি হেলমি ও ফিসুনয়াদি ইসনা ওয়াপি দম্পতির মেয়ে। তিনি সেখানে একটি কল সেন্টারে চাকরি করেন। রাসেল আহমেদ রায়পুর উপজেলার রাখালিয়া গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে। পেশায় তিনি একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী।

জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ফানিয়ার সঙ্গে রাসেলের পরিচয়, বন্ধুত্ব ও ঘনিষ্ঠতা। এক পর্যায়ে তা অদেখার দূরত্ব ঘুচিয়ে প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়।

রাসেল জানান, তাদের চার বছরের প্রেমের সম্পর্ক। ফানিয়া বিয়ের জন্য সূদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন। স্ত্রীকে নিয়ে বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসের ইচ্ছা তার, তবে আপাতত নয়। দুই মাসের ছুটি নিয়ে এসেছেন ফানিয়া। ছুটি শেষে চলে যেতে হবে আবার ইন্দোনেশিয়ায়। তবে এক সময় ফানিয়াকে নিয়ে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস করতে চান তিনি। ফানিয়াও বাংলাদেশে থাকার ব্যাপারে আগ্রহী।

ফানিয়া জানান, রাসেলের প্রতি গভীর ভালোবাসার টানে বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি তার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চান। বিষয়টি তিনি তার মা-বাবকে জানিয়েছেন। তিনি এদেশের মানুষের আতিথেয়তা ও ভালোবাসায় মুগ্ধ। ফানিয়া বাংলা জানেন। তবে বলতে পারেন না। বাংলা শেখার চেষ্টা করছেন বলে জানান।

রাসেল আহমেদের মা বিলকিস বেগম জানান, এখানে আসার পর থেকে পরিবারের সবার সঙ্গে খুব মিশে গেছে ফানিয়া। সবাইকে আপন করে নিয়েছেন।

রায়পুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আইনজীবী এড.মারুফ বিন জাকারিয়া বলেন, আমার কাছে এসেছে আমার এলাকার ছোট ভাই ইন্দোনেশিয়ান এই নারীকে নিয়ে। পরে পারিবারিক সম্মতিতে বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়।