গতকিছু দিন ধরে দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশের সুযোগে দেশীয় দালালদের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চেষ্টা হচ্ছে বেশী। মংডো হয়ে ও নাফ নদী হয়ে বেশকিছু রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে। আবার বৈরী আবহাওয়া নাফ নদীর মোহনায় ও বিজিবির কড়া পাহারায় প্রবেশ করতে না পেরে সাগর পথে অনুপ্রবেশের সময় নৌকাডুবির ঘটনাও ঘঠেছে। পুলিশ ও বিজিবি সুত্রে জানা যায়, এতে এখন পর্যন্ত বিশ জনের লাশ পেলেও আরো একাধিক রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১০ আগস্ট মংডো হয়ে বাংলাদেশে আসার পথে সেই দেশের জান্তা বাহিনীর ড্রোন হামলায় ২০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। সীমান্তের ওপারে ভয়াবহ ড্রোন হামলায়। মিয়ানমারে জান্তাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর চলমান সংঘাতের জেরে বাংলাদেশ অভিমুখে গভীর রাতে বাড়ছে রোহিঙ্গার ঢল। সীমান্তের স্থলভাগে কড়া নজরদারি থাকায় তাদের অনেকেই সাগরপথে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। সে সঙ্গে বাড়ছে নৌকাডুবিতে মৃতের সংখ্যা।
এদিকে নতুন করে সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে রাখাইনে। সেখানকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গুলি শব্দ শোনা যাচ্ছে। বাংলাদেশ প্রান্ত থেকে আগুনের কুণ্ডলীও দেখা যাচ্ছে।
‘এপার থেকে দিনের বেলায় মিয়ানমার সীমান্তে আগুনের ধোঁয়া দেখা যায়। আর রাত হলে গুলির শব্দ শুনতে পাই। মাঝে মধ্যে বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায়,’- বলছিলেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দারা।
শাহপরীর দ্বীপের মাস্টার নজির বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে রোহিঙ্গারা আবার আসতে শুরু করেছে। দালালদের মাধ্যমে কিছু আসতে পারলেও বিজিবি এখন কড়া পাহারায় রয়েছে। যা চোখে পড়ার মতো।
সাবরাং ইউনিয়নের বাসিন্দা সাবেক কৃষি কর্মকর্তা জানান, মায়নামারের ওপারে জান্তা বাহিনীর নিপিড়ন বাড়ছে এমন খবর পাচ্ছি। হয়তো এ কারনে এখন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বাড়ছে। এমনিতেই রোহিঙ্গাদের কারনে আমাদের টেকনাফ সহ পুরা কক্সবাজার জেলা অস্থির অবস্থায় আছে। তাই সবাইকে এবিষয়ে সরকারের আরো বেশী নজরদারী দরকার।