মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) চলমান সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। আরাকান আর্মির তাড়া খেয়ে বিজিপির প্রায় ৬৮ জন সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রথম দফায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ১৪ জন সীমান্তরক্ষী। এর পরে বিকেল ৪টায় আরও পাঁচজন এবং এরপরে কয়েক দফায় মিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মোট ৬৮ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। বিজিপির আরও সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে প্রবেশ করা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
মিয়ানমারের বিদ্রোহী দল আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) চলমান সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশে। আরাকান আর্মির তাড়া খেয়ে বিজিপির প্রায় ৬৮ জন সদস্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রথম দফায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ১৪ জন সীমান্তরক্ষী। এর পরে বিকেল ৪টায় আরও পাঁচজন এবং এরপরে কয়েক দফায় মিলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মোট ৬৮ জন সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এই সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা জানিয়েছেন সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিরা। বিজিপির আরও সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশে প্রবেশ করা মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের নিরস্ত্রীকরণের মাধ্যমে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু বিজিবি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের নাম-পরিচয় শনাক্ত করার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে থেমে থেমে গোলাগুলি চলছিল। রোববার ভোর থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মার্টারশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণে বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম, তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। শুধু তাই নয়, গুলির সিসা ও রকেট লান্সার উড়ে এসে পড়ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।
এদিকে হঠাৎ করে গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সীমান্তের এলাকাবাসী। আতঙ্ক, উৎকণ্ঠায় দিন পার করছে তারা। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। কৃষক কৃষি ক্ষেতে যেতে এবং অন্যান্য পেশাজীবীরা দৈনন্দিন কাজে যেতে ভয় পাচ্ছেন। অনেকে আবার নিজ এলাকা ছেড়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন।
এদিকে সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। তিনি জানান, এ ঘটনায় আমরা সীমান্তের কয়েকটি সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছি এবং সীমান্ত লাগোয়ো পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছি।