![](https://dainikbayanno.com/storage/rashed-khan.jpg)
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন বলেন, এখনো শেখ পরিবার ও আওয়ামী হাইকমান্ডের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। তার মানে কি এখানে কোন সমঝোতা হয়েছে? আমরা গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির সাথে কোন সমঝোতা মানবো না। আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবেনা। অবশ্যই তাদের নিষিদ্ধ করতে হবে। জাপাকে ৯১ তে সুযোগ দেওয়ার খেসারত আজও দিতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে এবার সুযোগ দিয়ে এই খেসারত আর দিতে চাই না।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) কক্সবাজারের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, হানাহানিমুক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ গঠন ও রাষ্ট্র সংস্কারে করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কক্সবাজার জেলা গণঅধিকার পরিষদ।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে কক্সবাজারকে মাদকমুক্ত জেলা হিসেসে ঘোষণা করতে হবে। কক্সবাজারের মানুষ আমার কাছে অভিযোগ করেছে, এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নাই। ডিসি-এসপি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারছে না। এখনো আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা এখানে গুম খুনের নির্দেশদাতা, তারা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।
তিনি বলেন, এই কক্সবাজারে ওসি প্রদীপের তাণ্ডব আমরা দেখেছি। ২০০ এর অধিক মানুষকে সে ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করেছে। কিন্তু কাদের নির্দেশে তিনি হত্যা করলেন? তাদেরকে কি বিচারের আওতায় আনা হয়েছে? এখানে মেজর সিনহা হত্যার শিকার হয়েছে। তখন কোন গণমাধ্যম নিউজ করেনি। আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছি। এরপর আলোচনায় আসে, ওসি প্রদীপ আটক হয়।
গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা আরও বলেন, এই কক্সবাজারের মানুষ অত্যন্ত সহজসরল। এখানে মহান আল্লাহর রহমত রয়েছে। প্রাকৃতিক সম্পদের ভাণ্ডার এই কক্সবাজার। এই জেলাকে মডেল জেলা হবে হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আর কোন গুম খুন এখানে হতে দেওয়া যাবেনা।
এসময় বক্তব্য রাখেন উচ্চতর পরিষদ সদস্য শহীদুল ইসলাম ফাহিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুন্নাহার ডলি, সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্রগ্রাম) লোকমান হোসাইন, কেন্দ্রীয় পার্বত্য বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের, কক্সবাজার জেলার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফকরুল আলমসহ স্থানীয় নেতারা।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে