রাজধানীর আরামবাগে সমাবেশ করতে জামায়াত ইসলামীকে অলিখিত (মৌখিক) অনুমতি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার লিটন কুমার সাহা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে জামায়াত ও বিএনপির নেতাকর্মীরা রয়েছেন। তারা এখানেই সমাবেশ করতে চাচ্ছেন।
অনুমতি দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওভাবেই অনুমতি দিতে পারি না। তবে তারা এখানে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করবেন।
এদিকে আরামবাগে জামায়াতের সমাবেশে করার প্রস্তুতি চলছে, ট্রাকে অসৃহায়ী মঞ্চ বানোনো হয়েছে। দুপুরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিক সমাবেশ শুরু করবে বলে শিবিরের সাবেক সভাপতি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে তারা শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন হাজার হাজার জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মী। তবে পুলিশ তাদের নটরডেম কলেজ ফুটওভার ব্রিজের সামনে আটকে দেয়।
জামায়াতের অবস্থান নিয়ে মতিঝিলে কথা বলেছেন পুলিশের সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তারপরও সমাবেশের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্স।
এর আগে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় গতকাল রাত থেকেই কঠোর অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সকাল ৮টার পর জামায়াত-শিবির সমর্থিত নেতাকর্মীদের ভিড় জমার পর ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে এসএম মিজানুর রহমান নামে জামায়াতে ইসলামীর এক সমর্থককে আটক করে পুলিশ। তাকে প্রিজনভ্যানে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি না পেলেও রাজধানীর শাপলা চত্বর এলাকায় সমাবেশ করার ঘোষণায় অনড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।