![](https://dainikbayanno.com/storage/img-20250102-152223.jpg)
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেছেন, দ্রুত নির্বাচনের জন্য আমরা সরকারের কাছে আহবান জানিয়েছি। নির্বাচনের জন্য সরকারের নিকট আহবান জানিয়ে আমরা ক্ষান্ত হয়নি। আমরা আমাদের দলকে শক্তিশালী করার জন্য, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত করতে ও আমাদের দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই, জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমি স্পষ্ট বলতে চাই আর সে জন্যেই আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি নির্বাচনের জন্য। কিন্তু আমরা স্পষ্ট লক্ষ্য করছি সরকারের ভিতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা একটি মহল ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কারীরা নির্বাচন বিলম্বিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের গোডাউন রোডস্থ বশির বিলার হলরুমে লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, তারা জনগণের ভোটের অধিকারকে ভয় পায়। জনগণের ক্ষমতায়নকে ভয় পায়। জনগণের বিচারকে ভয় পায়। আর ভয় পায় বলেই তারা নির্বাচনের কথা শুনলেই নানা ধরণের সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাই। আমরা যেমনি সংগঠনের জন্য কাজ করছি। আমরা তেমনি রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছি। আমরা তেমনিভাবে জনগণের ক্ষমতায়নের জন্যও কাজ করছি। আর তাই জনগণের বিচারের জন্য, জনগণের রায়ের জন্য আমরা নির্বাচনে যেতে চাই।
আহমেদ আযম খান বলেন, গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই। যখন আমরা একটি নির্বাচিত সংসদ পাব তখন গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় জনগণের ক্ষমতার জন্য যে আইন দরকার, যে সংস্কার গুলোর আইন দরকার, যে সংস্কার গুলোর মধ্যে দিয়ে আমরা সারাবিশ্বে সকল আধুনিক রাষ্ট্রের সাথে তাল মিলিয়ে আমরাও এগিয়ে যেতে পারবো সে আইন গুলি আমরা ওই নির্বাচিত সংসদে পাশ করবো।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আজ থেকে দু'বছর আগে। যখন এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যখন ফ্যাসিবাদী সরকার ছিল তখন আমরা বাংলাদেশকে মেরামতের জন্য আধুনিক গণতান্ত্রিক ও মানবিক বাংলাদেশ গঠনের জন্য ৩১ দফার সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আর এই সরকার যে সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তা আমাদের ৩১ দফার সাথে সাংঘর্ষিক নয়। বরং তাদের থেকে আমাদের ৩১ দফা অনেক ব্যক্ত কর্মসূচি। তাই আমরা বলবো সংস্কার চলবে যুগ যুগ ধরে। সংস্কার একটা শেষ হবে আরেকটা সামনে আসবে।
তাই সংস্কার শেষ করে যারা নির্বাচনের কথা বলেন, তারা নির্বচনকে ভয় পান। তারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চান। আর অনেকেই বলেন আওয়ামী লীগের বিচার শেষে নির্বাচন। বিচার তো একটি লম্বা প্রক্রিয়া, সেটাও তো দীর্ঘ সময়ের বেপার। ওটাও নির্বাচনকে বিলম্বিত করার আরেকটা চালাকি। আমরা কোন চালাকিতে যেতে চাই না।
তিনি বলেন, আর একটি মহল আছে যারা ৫ আগস্টে আমাদের সারা বাংলাদেশের মানুষের বিজয় আমাদের ১৭ বছরের আন্দোলন, আমাদের গুম-খুন, হত্যা ও নির্যাতনের বিনিময়ে যে বিজয় সে বিজয়কে কুক্ষিগত করতে চাই। তারা মালিকানা নিতে চাই। আমরা সে বিতর্কে যেতে চাই না। বিতর্কে যেতে চাইলে যারা জনগণের বিজয়কে কুক্ষিগত করতে চাই, তারা লজ্জায় পড়ে যাবে, তাদের মুখে কথা থাকবে না। কিন্তু আমরা ঐক্যের স্বার্থে কিছু বলছি না। জাতিটা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।
এখন জাতিকে বিভাজন করার জন্য সরকারের বিতরে এবং বাহিরে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। আমি আপনাদের সকলেকে সজাগ ও সর্তক থাকতে বলবো। ওই ষড়যন্ত্র কারীরা যেন সফল না হতে পারে। আমরা যে ভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, সে ভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকতে চাই এবং দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাতিকে আরও ঐক্যবদ্ধ করতে চাই। দ্রুত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সংসদ গঠন করে জাতির আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে চাই।
বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক সংসদ সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ ভিপি হারুন, সহ-শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, সাবেক সংসদ সদস্য নাজিম উদ্দিন আহমেদ, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এডভোকেট হাসিবুর রহমান।
বায়ান্ন/প্রতিনিধি/একে