ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সিলেটে বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা ছিলো জঙ্গিদের

সিলেট ব্যুরো: | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ৯ মে ২০২৩ ১০:৪৪:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন



সিলেটে বড় ধরণের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’। সংগঠনটির দাওয়াতি শাখার প্রধান আব্দুল্লাহ মায়মূনের নেতৃত্বে ৪ সদস্য সপ্তাহখানেক আগে সিলেট আসে। ভুয়া পরিচয় দিয়ে সদর উপজেলার বড়শলা এলাকায় বড়শালা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেয়। এই বাসায় থেকেই নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো তারা।

মঙ্গলবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন র‍্যাব-৯ মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আব্দুল মঈন। এর আগে সোমবার রাতভর বড়শালা এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সংগঠনের চার সদস্যকে আটক করে র‍্যাব।

আটককৃত ৪ জন হলেন- আব্দুল্লাহ মায়মূন, সালাউদ্দিন রাজ্জাক মোল্লা, মোহাম্মদ আবু জাফর তাহান ও আক্তার কাজী সাইদ আইজল।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় জানিয়ে খন্দকার আব্দুল মঈন বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে কুকিজ ন্যাশনাল ফ্রন্টের মাধ্যমে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়েছে এরা। মায়মূনের নেতৃত্বে এখান থেকে বড়ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনা করছিলো এই চারজন। মায়মূন মূলত: আনসার আল ইসলামের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, অর্থ সংস্থান ও সংগঠন চাঙা করতে নেতৃত্ব দিতেন।

আটকের সময় মোবাইল ফোন, দুলক্ষ টাকা, কিছু ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জব্দ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এই সংগঠনের অর্থের যোগানদাতাদের অনেককেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গতবছরের আহস্টে কুমিল্লা সদর এলাকা ৮ জন তরুণের নিখোঁজের প্রেক্ষিতে র‌্যাব নিখোঁজদের উদ্ধারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। নিখোঁজ তরুণদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে র‌্যাব “জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া” নামক একটি নতুন জঙ্গি সংগঠনের সক্রিয় থাকার তথ্য পায় এবং র‌্যাব জানতে পারে যে, এই সংগঠনের সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ‘কেএনএফ’ এর সহায়তায় সশস্ত্র প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।

এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইতোমধ্যে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাসহ মোট ৬৮ জন এবং পাহাড়ে অবস্থান, প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য কার্যক্রমে জঙ্গিদের সহায়তার জন্য ‘কেএনএফ’ এর ১৭ জন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান খন্দকার মঈন।