সারা দেশের মতো চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়ও দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতের তীব্রতা সে-ই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ এবং বিশেষ করে শিশুদের মাঝে দেখা দিয়েছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। যার ফলে প্রতিদিনই অর্ধশত রুগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। শিশু ওয়ার্ডে স্থান সংকুলন না হওয়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য খোলা হয়েছে পৃথক ওয়ার্ড।
সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়,ইমারজেন্সিতে ঠান্ডাজনিত রোগীদের ভীড়, বিশেষ করে শিশুদের সংখ্যা লক্ষ্যনীয়। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে শিশুদের জন্য ১৯টি বেড থাকলেও ভর্তি রয়েছে প্রায় অর্ধশত শিশু। বেড খালি না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৫-৩০ জন রুগী।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেয়া তথ্য মতে, গত একসপ্তাহে (৪ জানুয়ারি থেকে ১০১জানুয়ারি) পর্যন্ত ১৬৫ জন ডায়রিয়া রোগের চিকিৎসা নিতে ভর্তি হয়েছেন। এবং জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ১৪০জন রোগী। শুধু মাত্র মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ২৪ ঘন্টায় ৩০জন রোগী ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। ভর্তি হওয়া ছাড়াও প্রতিদিন শতাধিক রুগী ডায়রিয়া, জ্বর এর চিকিৎসা নিয়ে যাচ্ছেন বলেও কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
কর্তব্যরত নার্সদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সিটের চেয়ে রুগীর সংখ্যা দ্বিগুণের চেয়ে বেশি বেড়ে গেছে। এখন বর্তামানে ডায়রিয়া,জ্বর নিয়ে ৭০ জন মতো রুগী ভর্তি আছে।
ডায়রিয়া আক্রান্ত এক শিশুর মা কলি আক্তার বলেন, গত ৫ জানুয়ারি থেকে আমার ছেলেকে ডায়রিয়া কারণে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি। এখনো সুস্থ হয়নি।
সালাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, সকাল থেকে আমার ছেলেটার হঠাৎ করে ডায়েরিয়া শুরু হয়। তাই বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ভর্তি করাতে বলে।
এইবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাহিদ মুহাম্মদ সাইফউদ্দিন বলেন,মূলত ডায়রিয়া একটা পানিবাহিত রোগ। তবে, এখন তীব্র শীতের কারণে ছোটো বাচ্চা এবং বৃদ্ধাদের ও ডায়রিয়া হচ্ছে। আর যারা ডায়রিয়া বা ঠান্ডাজনিত অন্যান্য রোগ নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসছে তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানান।