আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের সঙ্গে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার যোগাযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে নগরের এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান।
আইজিপি বলেন, সম্প্রতি আরাভ ইস্যুতে পুলিশের সাবেক এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিষয়টি সামনে এসেছে। এটি আমরা খতিয়ে দেখবো।
উপযুক্ত সময়ে আমরা তা আপনাদের জানাবো। আরাভ খানের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করার জন্য ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি, বিষয়টি নিয়ে ইন্টারপোল কাজ করেছেন।
আরাভের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে বাংলাদেশ থেকে এক ঝাঁক তারকার দুবাইতে যাওয়ার পর থেকেই মূলত আলোচনার শুরু। তখনই সামনে আসে ২০১৮ সালে ৭ জুলাই ঢাকায় পুলিশের একজন পরিদর্শক মামুন এমরান খুনের আসামি এই আরাভ। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, বিতর্কিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানের বিরুদ্ধে আদালতের ১২টি পরোয়ানা রয়েছে।
অল্প সময়ে কোটিপতি হওয়া আরাভ খানের সঙ্গে দেশের অপরাধজগতের শীর্ষ সন্ত্রাসী, মডেল, পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সম্পর্ক রয়েছে বলে পুলিশের সূত্র ব্যবহার করে কয়েকটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যেই শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’টকশোতে আলোচনায় আসে র্যাবের এই সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজিরের নাম। এরপরই শনিবার বেনজির তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করে, আরাভকে চিনেন না বলে জানান।