ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আ.লীগ থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন আদম তমিজী হক

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৫:৩৯:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কথাবার্তা ও বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলার কারণে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য আদম তামিজী হক।

 

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

 

দলীয় সূত্রে জানা যায়, আদম তামিজী হক ইস্যুতে আজ রোববার জরুরি বৈঠকে বসে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচির বাসায় অনুষ্ঠিত হওয়া বৈঠকে তামিজী হককে বহিষ্কারের বিষয়ে মত দেন মহানগরের নেতারা।

 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান বলেন, আজকে কচি ভাইসহ আমরা ১০-১২ জন নেতা তার (কচি) বাসায় বসেছিলাম। কাদের ভাই সিঙ্গাপুর। তিনি এলে দেখা করে অনুমতি নিয়ে ব্যবস্থা নেব। 

 

তিনি আরও বলেন, কার সাথে কার কী হয়েছে, এটা আমরা জানি না। কিন্তু তার ভিডিওটি আমাদেরকে যথেষ্ট বিব্রত করেছে। তিনি শুধু দলীয় বিষয়ে বলছে সেটা না, তিনি বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়েছেন, এটা রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল। সে কারণে আমরা তাকে বহিষ্কারের সুপারিশ করব। তিনি আওয়ামী লীগের বিষয়েও অনেক নেতিবাচক কথা বলেছেন।

 

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে শুনেছি- যদি সত্যিকারভাবে বলে থাকে তাহলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদি পাসপোর্ট পুড়িয়ে থাকে তাহলে সেটা রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। কারণ, পাসপোর্টটা ব্যক্তি না, রাষ্ট্রপ্রধান করে থাকেন। এটার অপমান করলে অবশ্যই দেশকে অপমান করা হয়। দলের বিরুদ্ধে কিছু বলে থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

তিনি আরও বলেন, আমার বাসায় বসেছিলাম। সাংগঠনিক বিষয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। আলোচনায় এই বিষয়টি ছিল। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশে আসলে তার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।

 

এর আগে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, আদম তমিজি হক নিজের বাংলাদেশের পাসপোর্ট পুড়িয়ে ফেলছেন।

 

সেই ভিডিওতে আদম তমিজি হক বলেন, আওয়ামী লীগের একজন নেতা ছিলাম আমি। আওয়ামী লীগ আমার ১ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়েছে। আমাকে দেশ ছাড়া করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর চেষ্টা করছে। যার কারণে আমি বাংলাদেশের নাগরিকত্ব বর্জন করলাম। এদেশের নাগরিকত্ব আর চাচ্ছি না। কারণ, এদেশের নাগরিক হওয়ার যোগ্যতা আমার নেই।