এক মাসে বৈদেশিক মুদ্রার প্রকৃত বা নিট রিজার্ভ কমলো ২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২৬ অক্টোবর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২৫ অক্টোবর নাগাদ নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (দুই হাজার ৮৯ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার ডলার-বিপিএম৬)।
২৬ সেপ্টেম্বর রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার (দুই হাজার ১১৫ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার-বিপিএম)। সেই হিসাবে কমেছে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ লাখ ডলার।
অন্যদিকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে গঠিত বিভিন্ন ধরনের তহবিল ও দায়-দেনাসহ দেশে মোট (গ্রস) রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলারে (দুই হাজার ৬৭০ কোটি ১৪ লাখ ২০ হাজার ডলার)।
২৬ সেপ্টেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলার (দুই হাজার ৭০৫ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ লাখ ডলার)। সেই হিসাবে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ কমেছে ৩৫ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
হিসাব বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গ্রস ও নিট রিজার্ভে গরমিল রয়েছে। গ্রস রিজার্ভ কমেছে ৩৫ কোটি ৬০ লাখ ৫০ হাজার ডলার। আর নিট রিজার্ভ কমেছে ২৫ কোটি ৭৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে গরমিল ৯ কোটি ৮৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের। তবে শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় বিষয়টি জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কারো সঙ্গে এ নিয়ে যোগাযোগ করা যায়নি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণের শর্ত হিসেবে জুলাই মাস থেকে মোট রিজার্ভ থেকে গঠিত তহবিল বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভ ও গ্রস রিজার্ভের হিসাব শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা প্রতি সপ্তাহে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে নিট রিজার্ভ থেকে চলতি দায়-দেনা বাদ দিয়ে আরও একটি প্রতিবেদন তৈরি করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। সেই হিসাবে বাংলাদেশের রিজার্ভ আরও প্রায় তিন বিলিয়ন কম।
আইএমএফের কয়েকটি শর্তের মধ্যে একটি হলো, আগামী ডিসেম্বরে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ দুই হাজার ৬৮০ ডলারে রাখা। তবে শর্ত অনুযায়ী রিজার্ভ রাখতে পারবে না বলে আইএমএফকে জানিয়েছে বাংলাদেশ।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ শর্ত শিথিল করেছে। নতুন লক্ষ্যমাত্রা হলো, ডিসেম্বরের মধ্যে এক হাজার ৮০০ কোটি ডলার এবং আগামী বছরের জুনের মধ্যে দুই হাজার কোটি ডলার নিট রিজার্ভ রাখতে হবে।