ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

করোনা টিকা নিতে এসে করোনার শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা,স্বাস্থবিধি মানছেনা

জাহেদ হাছান তালুকদার, রাঙ্গুনিয়া( চট্রগ্রাম) প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার ১১ জানুয়ারী ২০২২ ০৭:০৩:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন
স্কুলে ১২ বছর থেকে ১৮ বছরের শিক্ষার্থীদের করোনার টিকার আওতায় আনতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের টিকাদান।উপজেলার ইছাখালী পৌরসভার অডিটোরিয়ামে ৮টি বুথে টিকাদান শুরু হয়েছে, কিন্তু টিকাদানে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা ও ধীরগতির কারণে ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে শিক্ষার্থীরা এমন অভিযোগ করেছেন সন্তানদের টিকা দিতে আসা অভিভাবকরা।

আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পয়র্ন্ত টিকাদান চলবে। পৌরসভার অডিটোরিয়ামে গেলে দেখা যাই - কাপ্তাই সড়কের দুই পাশে হাজার গাড়ি ও শিক্ষার্থী সাথে অভিভাবকরা মিলে সৃষ্টি হয় একটি অন্যরকম পরিবেশ এবং দীর্ঘ লাইন গাড়ির যানজট।

এদিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকালে ৮ টার দিকে শিক্ষার্থী ও স্কুলের স্যার অভিভাবকরা জড়ো হতে থাকে। একই সময়ে মধ্যে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জড়ো হওয়ায় বড় ধরনের ভিড় সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় গাদাগাদি করে অবস্থান করছিল শিক্ষার্থীরা। এ সময় অধিকাংশের মুখে ছিল না মাস্ক। এতে করে টিকা নিতে এসে করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকিতে পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও পথচারীরা।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম বলেন--আজ একই দিনে উপজেলার ৮টি বিদ্যালয়ের মোট ৭১৫৯ শিক্ষার্থীকে টিকা প্রয়োগের সিডিউল করা হয়। নিদিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীরা আসবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.দেব প্রসাদ চক্রবর্তী কাছে স্বাস্থ্যবিধি ও ভিড় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন--স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে টিকাদান কাযর্ক্রম শেষ করা যায়। এছাড়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষ ও জেনারেটর সুবিধা ছাড়া এই টিকা প্রয়োগ করা যায় না। প্রত্যেকটি স্কুলের শিক্ষার্থীদের একটি নির্দিষ্ট সময় দেওয়া হয়েছিল কিন্তুু তার আগে চলে আসায় একটু ভিড হয়েছে।

একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন একসঙ্গে এতসংখ্যক শিক্ষার্থীকে কেন্দ্রে জড়ো করে টিকাদানের সিদ্ধান্ত সুবিবেচনা হয়নি। এখন উল্টো শিক্ষার্থীরাও আক্রান্তের ঝুঁকিতে পড়েছে। মানুষের দুর্ভোগ তো ছিলই। কর্তৃপক্ষ চাইলে আরো আগে থেকেই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়িয়ে অথবা সময় নিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে পারতেন। যদি স্কুলে স্কুলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ব্যবস্থা করা হতো তবে সবচেয়ে ভালো হতো। মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হতো না। শিক্ষার্থীদেরও ঝুঁকিতে পড়তে হতো না।