টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানির পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পানির উপর নির্ভরশীল দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (কপাবিকে) বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫ টি ইউনিট হতে সর্বমোট ২ শত ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। যেটি চলতি বছরে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির সর্বোচ্চ উৎপাদন। এর আগে গত সপ্তাহে গড়ে ২ শত হতে ২ শত ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হতো বলে কপাবিকে কর্তৃপক্ষ সুত্রে জানা যায়।
কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের জানান, শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১ টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট দিয়ে সর্বমোট ২ শত ১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। তৎমধ্যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১নং ইউনিটে ৪৬ মেগাওয়াট, ২নং ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট, ৩নং ইউনিটে ৪৭মেগাওয়াট, ৪নং ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট এবং ৫নং ইউনিটে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে। লেকে পানি বাড়লে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরোও বাড়বে বলে তিনি জানান।
এদিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা জানান, রুলকার্ভ অনুযায়ী কাপ্তাই লেকে বর্তমানে ৯৪ দশমিক ২০ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) পানি থাকার কথা থাকলেও শনিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১১ টা পর্যন্ত লেকে ৯৬ দশমিক ৭৯ এমএসএল পানি রয়েছে। অর্থাৎ কাপ্তাই লেকে পানির পরিমাণ বর্তমানে বেশি রয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিন-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম লেক কাপ্তাই । এই হ্রদের পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল এবং কাপ্তাই হ্রদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে দেশের একমাত্র পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র, যা ৫টি ইউনিটের মাধ্যমে ২৩০ থেকে ২৪০ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম।