চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি এম গিয়াস উদ্দিনসহ ৪জন বিএনপি নেতাকর্মীকে ২বছর করে সাজা দিয়েছে চকরিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ১১এপ্রিল'২৩ইং এ রায় হয়। আদালত তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
অন্যান্য বিএনপি নেতারা হলেন পৌর ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাইছার হামিদ, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবদুস সালাম ও হারবাংয়ের বিএনপি নেতা আনোয়ারুল কবির।
আদালতে আসামী পক্ষে নিয়োজিত আইনজীবি এড, গোলাম সরওয়ার জানান, মামলার সাথে আসামীদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাদেরকে কথিত বনমামলায় সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়।
তিনি আরো বলেন, চকরিয়া থানায় বন মামলাটি (জিআর 47/2018) করেন খুটাখালী বনবিট অফিস। মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা তালিকাভুক্ত আসামীও ছিলেননা। তাদেরকে তৎকালীন 2018 সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় গ্রেফতার হলে এই বন মামলায় সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়। এমনকি মামলার বাদীসহ সকল সাক্ষীরা সাক্ষী দেন তাদেরকে (এই চার জন আসামীকে) চিনেন না এবং জড়িতও নেই। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জসীটে তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করলেও সাক্ষী দিতে আসেননি।
এড, গোলাম সরওয়ার জানান, উল্লেখিত ৪আসামী বিএনপি নেতাদের বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ৩০/৩৫ কিঃমিঃ দুরে। তাদেরকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় উদ্দেশ্যমূলকভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তারা উচ্চ আদালত থেকে শীঘ্রই জামিনে আসবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবী করেছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এনামুল হক, সদস্য সচিব অধ্যাপক ফখরুদ্দিন ফরায়েজী, পৌর বিএনপির আহবায়ক এসএম আবুল হাসেম, সদস্য সচিব এম মোবারক আলীসহ বিএনপি নেতারা।
মোহাম্মদ উল্লাহ