ঢাকা, রবিবার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

তফসিল ঘোষণা হলেই তীব্র হতে পারে বিএনপির আন্দোলন

নিজস্ব প্রতিবেদক : | প্রকাশের সময় : শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ ০৪:০৯:০০ অপরাহ্ন | রাজনীতি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার পতনের একদফার আন্দোলনে রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো। তফসিল ঘোষণার পর আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখেই নেতাকর্মীদের রাজপথে সক্রিয় করা হচ্ছে।

 

এরই অংশ হিসেবে চতুর্থ দফায় রোববার ভোর ৬টা থেকে আবারও দেশব্যাপী বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে; যা মঙ্গলবার ভোর ৬টায় শেষ হবে। এরপর একদিন বিরতি দিয়ে আবারও লাগাতার এই কর্মসূচি ঘোষণা হতে পারে বলে জানা গেছে।

 

অবরোধ কর্মসূচি প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ভোর ৬টা থেকে শুরু হবে ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ যারা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের বিশ্বাস করে, তারা প্রত্যেকে এই অবরোধ কর্মসূচি সাফল্যমণ্ডিত করবে। সারা বাংলাদেশে রাস্তা-ঘাট, মহাসড়কসহ প্রত্যেকটি জায়গায় উপস্থিত হবে। সরকারের যত জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন-অত্যাচার প্রতিহত করেই তারা রাজপথে থাকবেন।

 

বিএনপির নেতারা বলছেন, অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে ঢাকাকে সারাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করাই ছিল দলটির মূল উদ্দেশ্য। সেখানে নিজেদের সফল মনে করছেন তারা।

 

বিএনপি মনে করছে, ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ ও তত্ত্বাধায়ক সরকারসহ একদফা দাবিতে আন্দোলন চলমান থাকলে সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ আরও বাড়বে। ফলে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করা সরকারের জন্য সম্ভব হবে না।

 

ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নির্বাচন কমিশনাররা। সাক্ষাৎ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, যেকোনো মূল্যে নির্ধারিত সময়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে। দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।

 

বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দলটি নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানতে পেরেছে যে, ১৪ অথবা ১৬ নভেম্বরের মধ্যে যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এই তফসিল ঘোষণার ওপর নির্ভর করছে সবকিছু।

 

জানা গেছে, আন্দোলন জোরদার করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন জোনে ভাগ করা হয়েছে মহানগর উত্তর এবং দক্ষিণকে। প্রতিটি জোনে কেন্দ্রীয় ও মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরের বিভিন্ন আসনে সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও সম্ভাব্য প্রার্থীদের তাদের নিজ নিজ এলাকায় আন্দোলন জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামীসহ যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত অন্যান্য রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায় থেকে আলোচনা শুরু হয়েছে।