দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত এলাকা থেকে দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সাড়ে ৫ ঘন্টা পর বিজিবির কাছে ফেরত দেয় বিএসএফ। রোববার বেলা সাড়ে ১২ টার সময় তাদের আটক করে বিএসএফ। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার সময় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠকের পর দুই মাদরাসা ছাত্রকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
ছাত্ররা হলো, উপজেলার আলীহাট গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে রুহুল আমিন (১৩) ও আরমান আলীর ছেলে আরাফাত হোসেন শান্ত (১৫)। তারা আলীহাট গাজী আমেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র।
বিজিবির হিলি সিপি ক্যাম্পের সুবেদার আলম হোসেন জানান, হিলির একটি মাদরাসার দুই ছাত্র করোনার টিকা গ্রহণ করে ঘুরতে চেকপোস্ট এলাকায় আসে। এসময় তারা সীমান্তের ২৮৫নং মেইন পিলারের ১০নং সাব সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে ভুল করে ভারত অংশে ঢুকে পড়লে বিএসএফ তাদের ধরে ফেলে। পরে ছাত্রদের পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানতে পেরে তাদের ফেরত চেয়ে ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্পের খবর পাঠানো হয়। পরে বিএসএফ ওই দুই ছাত্র বাংলাদেশি কিনা তা প্রমান চান। এসময় ছাত্রদের জন্মনিবন্ধন দেওয়া হলে বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহবান জানান। এরই প্রেক্ষিতে আজ বিকেল ৫টায় সীমান্তের ২৮৫ মেইন পিলারের ১০নং সাব সীমানা পিলারের বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত। এরপর বিএসএফ ওই দুই ছাত্রকে আমাদের কাছে ফেরত দিলে তাদের স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আলিহাট গাজী আমেনিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, রোববার আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের করোনার টিকা প্রদানের জন্য হিলি স্থলবন্দরের একটি টিকা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। টিকা নেওয়ার পর ছাত্র-ছাত্রীদের নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু আরাফাত ও রুহুল তারা হিলি সীমান্তের চেকপোষ্ট গেটের দিকে বেড়াতে যায়। বেড়ানোর এক পর্যায়ে সীমান্ত এলাকা চিহ্নিত করতে না পেরে সীমান্তের কাছে গেলে ভারতের হিলি ক্যাম্পের বিএসএফ তাদের আটক করে নিয়ে যায়। তাদের উদ্ধারে আমরা বিষয়টিকে স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে জানায়।
বিজিবির হিলি সিপি ক্যাম্পের সুবেদার আলম হোসেন জানান, হিলির একটি মাদরাসার দুই ছাত্র করোনার টিকা গ্রহণ করে ঘুরতে চেকপোস্ট এলাকায় আসে। এসময় তারা সীমান্তের ২৮৫নং মেইন পিলারের ১০নং সাব সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে ভুল করে ভারত অংশে ঢুকে পড়লে বিএসএফ তাদের ধরে ফেলে। পরে ছাত্রদের পরিবারের কাছে ঘটনাটি জানতে পেরে তাদের ফেরত চেয়ে ভারতের হিলি বিএসএফ ক্যাম্পের খবর পাঠানো হয়। পরে বিএসএফ ওই দুই ছাত্র বাংলাদেশি কিনা তা প্রমান চান। এসময় ছাত্রদের জন্মনিবন্ধন দেওয়া হলে বিএসএফ পতাকা বৈঠকের আহবান জানান। এরই প্রেক্ষিতে আজ রোববার বিকেল ৫টায় সীমান্তের ২৮৫ মেইন পিলারের ১০নং সাব সীমানা পিলারের বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত। এরপর বিএসএফ ওই দুই ছাত্রকে আমাদের কাছে ফেরত দিলে তাদের স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এব্যাপারে হাকিমপুর থানার ওসি খায়রুল বাশার শামীম জানান, এরা শিশু ছাত্র। ভুল করে চলে গেছে। আমরা সন্ধ্যায় তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি।