বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দুই বছর পর বাংলাদেশের রফতানি হবে ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছর আমরা ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করলেও প্রায় ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। (৩১ মে) মঙ্গলবার চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মাসব্যাপী ‘২৯তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২২’ উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের রফতানি দিন দিন বাড়ছে। আমাদের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরী পোশাক। বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার কারণে আমাদের আরও ৫ থেকে ৬টি পণ্য বছরে এক বিলিয়েনের বেশি রফতানি করবে। দেশের রফতানি বৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীদের অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। সরকার সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশে একের পর এক শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠছে। পণ্য উৎপাদন বাড়ছে। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ নির্ধারিত আগামী ২০৩০ সালের এক বছর আগেই বাংলাদেশ সফলভাবে এসডিজি অর্জন করবে এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশ একটি উন্নত দেশে পরিণত হবে’।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।এ দেশে উন্নয়নে আমাদের সকলকে দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের প্রশংসা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন একটি শক্ত অর্থনীতির উপর দাঁড়িয়ে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ব্যবসায়ীদের ভূমিকা অনেক বেশি। বাংলাদেশ আজ পাকিস্তান থেকে সকল সূচকে এগিয়ে আছে,এমনকি ভারতের সঙ্গে প্রায় ৭টি সূচকে এগিয়ে। আমাদের সামনে উজ্জ্বল সম্ভাবনা। এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম প্রসঙ্গে টিপু মুনশি বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। সরকার চট্টগ্রামকে অধিক গুরুত্ব দেয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে,এখনও কাজ চলমান। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা হয়েছে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ ও পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে। এখন ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে।