![](https://dainikbayanno.com/storage/untitled-1-85.jpg)
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কী করতে চাইছে, রাষ্ট্র মেরামত করতে আর কত মাস কত সময় লাগবে সেটি জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। সরকার রোডম্যাপ ঘোষণা করলে জনগণের কাছে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আসবে।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা করে বিএনপি। এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তারেক রহমান।
নির্বাচনের রোডম্যাপ জানতে চাইলে উপদেষ্টারা বিরক্ত হন অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার কথা শুনলে উপদেষ্টাদের চেহারায় অস্বস্তির ছাপ ফুটে ওঠে, যা জনআকাঙ্ক্ষা বিরোধী। সরকার তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণের কাছে যত বেশি স্বচ্ছ থাকবে, জনগণ তত বেশি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ ও স্বাধীনতা রক্ষা পেয়েছে। এই কারণে প্রায় আমি বলে থাকি, ১৯৭১ সাল ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার অর্জনের আর ২০২৪ সাল দেশ এবং জনগণের স্বাধীনতা রক্ষার। এমন পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে এবারের বিজয় দিবস অবশ্যই বেশি আনন্দের, গৌরবের এবং অনেক বেশি অর্থবহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
দেশের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, প্রায় প্রতিদিন দেশের কোনো না কোনো হাসপাতালে ডেঙ্গুতে মানুষের মৃত্যু অব্যাহত রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসা খরচ যোগাতে অনেকের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এর পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতিতে দিশাহারা সমাজের প্রায় প্রতিটি মানুষ। প্রতিদিনের সংসারের ব্যয় মিটাতে জনগণকে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আসুন আমরা যারা বিএনপির নেতাকর্মী-সমর্থক রয়েছি, আমরা সবাই একসঙ্গে একযোগে এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাই। আর একটি কথা মনে রাখতে হবে, যে কথাটা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বার বার বলছেন যে, আপনাদের আচার-আচরণের ওপর নির্ভর করবে যে, সামনের দিনে জনগণের ভালোবাসা পাবে কি পাবনা। সেই কথা চিন্তা করেই আমরা যেন এগিয়ে যাই।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, যুব দলের এম মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন বক্তব্য রাখেন।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে