জীবনে প্রথম দেখা ফেনী জেলাতে এই ভয়াবহ বন্যার পরিস্থিতি মানুষকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। একদিকে ফেনীতে প্রচুর ঝড় বৃষ্টি অন্যদিকে আবার ভারত থেকে বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। প্রচুর বৃষ্টি হলেও ফেনীতে এতো ঝুঁকি ছিলো না বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে ভারত থেকে তীব্র গতিসীমা এড়িয়ে পানির স্রোত ফেনীতে আসতে দেখা গিয়েছে।
এতো পরিমাণ পানির স্রোত ছিলো যে ঘরবাড়ীর জিনিসপত্র সরিয়ে রাখা তো দূরের কথা, আমাদের প্রত্যেকটা ঘরে থাকা পরিবারের সদস্যগুলো যে নির্ধারিত আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে উঠবে তারও কোনো সুযোগ ছিলো না।
ঘরের বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে সেটা জানি, তবে দুই থেকে তিন ঘন্টা পর ঘর থেকে বের হয়ে দেখি উঠানে কোমর পরিমাণ পানি জমে গেছে। তারপরেও আমরা জানি না ভারত থেকে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তারপর ভেবেছিলাম উঠানে জমে থাকা পানিগুলো আস্তে আস্তে কমে যাবে। রাতে হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখি উঠান থেকে ঘরে পানি উঠেছে, পানির পরিমাণ হয়ে উঠেছে গলা পরিমাণ। এমন কোনো জায়গা ছিলো না ঘরের জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে রাখার মতো বা নিজেরা একটা জায়গায় গিয়ে অবস্থান করবো তেমন কোনো জায়গা ইমারজেন্সি খুজে পাইনি।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানান, ভারত থেকে পানি ছাড়ার আগে আমাদেরকে কোনো সতর্কবার্তা দেওয়া হয়নি কেনো? কে নিবে আমাদের এতো পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির দায়বদ্ধতা?