চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার কয়লার ঘর গোলবাগ আবাসিক এলাকায় বসবাসরত এক সংখ্যালঘু অসহায় মহিলা নিজ স্বামীর হুমকির মুখে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অসহায় মহিলা ছবি দে এর প্রতিকার চেয়ে গতকাল ১৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, তার স্বামী অমর দে, পিতা-সোনা দে, স্থায়ি ঠিকানা : মল্লিক বাড়ী, আশিয়া কমলা পাড়া, ডাকঘর : আশিয়া-৪৩৭০। থানা-পটিয়া, জেলা-চট্টগ্রাম-এর সহিত পরিচয়ের সুবাদে বিগত ৫ বছর পূর্বে সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ি হাজারি গলির কালী মন্দিরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিগত ৫ বছর বসবাস করে আসছে।
কিন্তু বিবাহের পরথেকে চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস শুরুর প্রাক্কালে স্বামী অমর দে ৫ লাখ টাকা যৌতুকের দাবীতে তাকে নানা অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে মারধর করতো।
এক পর্যায়ে তার দাবীকৃত টাকা দিতে না পেরে ছবি দে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চাকুরী নিয়ে মাসে-মাসে বেতনের টাকা তার হাতে তুলে দিয়েছে। ছবি দে অভিযোগ করে বলেন, পরবর্তীতে আমি জানতে পারি তার আরো একটি স্ত্রী রয়েছে। অথচ এই কথা আমার কাছথেকে সে গোপন রেখে আমার বেতনের টাকা নিয়ে সে ওই সংসারের খরচ চালায়। এভাবেই পাথরঘাটা এলাকায় ৩ বছর অতিবাহিত হয় ছবি দে’র।
পরবর্তীতে ছবি দে’র চাকুরীর সুবিধার্থে বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন কয়লার ঘর এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বিগত ২ বছর ধরে বসবাস করে আসলে, হঠাৎ সে অসুস্থ হয়ে পড়লে, চাকুরী ছেড়ে দিতে হয়। এতে করে তার উপর নির্যাতন আরো বেড়ে যায় বলে জানান।
এক পর্যায়ে তাকে চিকিৎসা করানোর নামে তার স্বামী একটি এনজিও থেকে লোন নিতে বলে। তার পরামর্শ অনুযায়ি এনজিও থেকে গত দেড় মাস পুর্বে সাপ্তাহিক কিস্তিতে লোনও তুলে ছবি দে। কিন্তু তার আর চিকিৎসা করানো হলো না। সেদিনই রাতে তার স্বামী সেই লোনের টাকা এবং ছবি দে’র ব্যবহৃত স্বর্ণের অলংকার নিয়ে চম্পট দেয় অমর দে।
পরবর্তীতে তার স্বামীর সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে, সে স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে এবং বাড়াবাড়ি করলে বড় ধরণের ক্ষতিসাধন করবে মর্মে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়। তার অব্যাহতভাবে লাগাতার হুমকি-ধমকিতে ছবি দে অনাহারে-অর্ধাহারে অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপনের পাশাপাশি বাসা ভাড়া ও সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অসুস্থ শরীর নিয়ে চরম নিরাপত্তা হীনতার জীবন-যাপন করছে। এ ব্যাপারে ছবি দে প্রশাসনের জরুরী সাহায্য কামনা করেছেন।