বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস। সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তারা পাশাপাশি বেশ কিছু সময় আলোচনা করেন।
এসময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।’
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে সেনাকুঞ্জে পৌঁছান বেগম খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে রয়েছেন তার কনিষ্ঠ পুত্র প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।
২০১৮ সালের পর প্রথম কোনো প্রকাশ্য কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। সর্বশেষ তিনি ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিলেট সফরে গিয়েছিলেন। এর আগে সর্বশেষ ২০০৯ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনাকুঞ্জে যোগ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
এ বছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ২০০৯ সালের পর এবারই প্রথম তারেক রহমানকে এমন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হলো।
মোট ২৬ জন বিএনপি নেতাকে এবার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, এবং দলের বিভিন্ন পদে থাকা বিভিন্ন পদমর্যাদার সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা। আগে এত বড় পরিসরে বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোর নজির নেই।
গত মঙ্গলবার রাতে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপি নেতাদের আমন্ত্রণ জানায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
ওই রাতে সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ এস এম কামরুল আহসান খালেদা জিয়ার বাসভবনে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেন। আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেন চেয়ারপার্সনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার।
বায়ান্ন/আরএইচ/একে