কক্সবাজারের টেকনাফ বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারকালে সেন্টমার্টিনের অদূর থেকে মাঝিমাল্লাসহ বাংলাদেশি চারটি ট্রলার নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা। শনিবার সকাল ১০ টার দিকে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিক থেকে দুই দফায় মাছ ধরার ট্রলারসহ ২২ জন মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে যায় তারা।
বিষয়টি স্বীকার করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, তার দ্বীপের চারটি ট্রলারসহ ২২ মাঝিমাল্লাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার নৌবাহিনী। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছেন।
স্থানীয় জেলেরা জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা নুরুল আমিন, মো. আজিম, মো. হোসেন এবং তার ছেলে মো. ইউনুছের মালিকাধীন চারটি মাছ ধরার ট্রলারে করে ২২ জন মাঝিমাল্লা সাগরে মাছ শিকারে যান। সকালে দ্বীপের পূর্বদিকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ওই ট্রলারসহ ২২ জন মাঝিমাল্লাদের ধরে নিয়ে যায়। পরে তারা তীরে এসে জনপ্রতিনিধিসহ ট্রলার মালিকদের বিষয়টি জানান।
এ বিষয়ে ট্রলার মালিক মো. আজিম জানান, সকালে সেন্টমার্টিনের পূর্ব দিকে এপারে ঢুকে মিয়ানমার নৌবাহিনীর সদস্যরা তার মাছ ধরার ট্রলারটি ধরে নিয়ে যায়। ট্রলারে ৬ জন মাঝিমাল্লা ছিল। এছাড়া আরো তিনটি ট্রলার ধরে নিয়ে গেছে। ঘটনাটি বিজিবি ও কোস্ট গার্ডকে জানিয়েছেন।
সেন্টমার্টিন স্টেশনের কোস্ট গার্ডের এক কর্মকর্তা বলেন, মাঝিমাল্লাসহ ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তবে তারা কি রোহিঙ্গা নাকি বাংলাদেশি সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভেজ চৌধুরী জানান, 'মাছ ধরার ট্রলার ধরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি শুনেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে কোস্ট গার্ড ও বিজিবি ব্যবস্থা নিবে। এব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবির কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।