ঢাকা, সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মিরসরাইয়ে ইভটিজিং এর জেরে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

মিরসরাই প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : | প্রকাশের সময় : রবিবার ২৩ জানুয়ারী ২০২২ ০৯:৫৫:০০ অপরাহ্ন | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। রোববার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সদরে ও পৌরসভার দক্ষিণ তালবাড়িয়া এলাকায় উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নাহিদুল আলম জাফর ও মিরসরাই পৌরসভার ৮ নন্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো.ইলিয়াছ হোসেন লিটনের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই পক্ষের  দুটি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সংঘর্ষে আহতরা হলো  হাসান, সাকিব, রাজু, নিশাত, রিয়াজ। আহতদের মধ্যে সাকিব, রাজু, নিশাতকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া করেছে। অন্য দুইজনকে উপজেলা সদরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। 

 

 শনিবার দুপুরে মিরসরাই সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গেটে বহিরাগত এক যুবক এক স্কুল ছাত্রীকে ইভটিজিংয়ের চেষ্টা করলে জাফরের সমর্থক হাসান নামে তাকে বাঁধা দেয়। ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়ায় ঘটনায় লিটনের সমর্থক সাকিব ও রাজু রোববার সকালে পৌরবাজারে একা পেয়ে হাসানকে মারধর করে। এরপর হাসানও দলবল নিয়ে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয় লিটনের সমর্থক সাকিব, রাজু, নিশাত ও রিয়াজ। এক পর্যায়ে হাসান দলবল নিয়ে পৌরসভার দক্ষিণ তালবাড়িয়া এলাকার তার বন্ধু রিয়াজের বাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে সকাল বেলার হামলার প্রতিশোধ নিতে লিটনের অনুসারিরা দক্ষিণ তালবাড়িয়া এলাকায় গিয়ে জাফরের অনুসারিদের দোকানে ও বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা দুটি মোটরসাইকেল  ভাংচুর করে এবং একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুই পক্ষ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নাহিদুল আলম জাফর ও মিরসরাই পৌরসভার ৮ নন্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো.লিটনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত। 

 

এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নাহিদুল আলম জাফর বলেন, ইভটিজিংয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাউন্সিলর লিটনের অনুসারিরা শনিবার রাতে কয়েকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। এরপর রোববার সকালে আবার হাসান নামের আরেক ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। লিটনের অনুসারিরা বাড়িতে ও দোকানে হামলা চালিয়ে কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়। কাউন্সিলর লিটনের মদদে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে দাবি জাফরের।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরসরাই থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, মিরসরাই পৌরসদরে আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার কথা শুনেছেন। এক পক্ষের বাড়িতে হামলা এবং একটি মোটরসাইকেল পোড়ানোর সত্যতা পেয়েছি। এ ঘটনায় কোন পক্ষ এখনো থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি আমরা।