রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কোনো ছাপ পড়েনি আমেরিকায়। হয়তো অনেক নাগরিকই জানেন না রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধের খবর। আমরা যারা খোঁজ খবর রাখি শুধু মাত্র তারাই জানি বিশ্বের দুইটি দেশের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। এর প্রভাবও পড়েছে অনেক দেশে। কিন্তু আমেরিকার বেলায় দেখা যাচ্ছে ব্যাতিক্রম। সব স্বাভাবিক।
আমেরিকায় বসবাসরত সিলেটের সাংবাদিক এম এইচ রহমান মনি দৈনিক বায়ান্নের কাছে জানাচ্ছিলেন আমেরিকার সর্বশেষ অবস্থা।
ইউনেস্কো পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক রহমান জানাচ্ছিলেন, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অনেকেই অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু যুদ্ধের কয়েক সপ্তাহ কেটে গেছে। যুদ্ধ এখনো চলমান। কবে শেষ হবে তাও অনিশ্চিত। ইতোমধ্যে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশ দুটির। প্রভাব পড়েনি আমেরিকার অর্থনীতিতে।
তিনি বলেন, দেশ দুইটির যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রভাব পড়েছে। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি সব জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পয়েছে। জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক। কিছু কিছু দেশের পাম্পগুলোতে জ্বালানী দেল পাওয়া যাচ্ছে না। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুন হয়ে গেছে। যুদ্ধ দীর্ঘ মেয়াদী হলে অনেক দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা চরম খারাপের দিকে চলে যাবে। হয়তো কিছু দেশকে দুর্ভীক্ষের সম্মুখিন হতে পারে।
আমেরিকয়া যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে না কেন জানতে চাইলে রহমান মনি বলেন, দেশটি স্বয়ং সম্পূর্ণ। কৃষি পণ্য থেকে শুরু করে সব ধরণের পণ্য উতপাদন হয় দেশটি। উতপাদিত পণ্য উদ্বৃত হলে অন্য দেশকে দিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, আমেরিকা এমন একটি দেশ, যেদেশের সরকার অন্য দেশের দিকে তাকাতে হয় না। অথচ বিশ্বের অনেক দেশ আছে, যারা আমেরিকার সহযোগিতার দিকে তাকিয়ে থাকে।
রহমান মনি জানাচ্ছিলেন, আমেরিকা দেশটি অন্য এক দুনিয়া। আরো বড় ধরণের যুদ্ধ হলে দেশটিতে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। দেশটির নাগরিকরা দেশ সেবাকে দায়িত্ব মনে করেন। এই ভাবনা থেকে এদেশের প্রায় প্রতিটি নাগরিকই কাজ পাগল। যুদ্ধ নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই তাদের। এখানে ফাঁকিবাজদের স্থান হয় জুনিয়রদের কাতারে।