সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে গলায় ফাঁস দিয়ে সালমা বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহত গৃহবধূ শিমুলবাঁক ইউনিয়নের ঢালাগাও গ্রামের শওকত মিয়ার স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট)সন্ধ্যা ৬ টায় ওই গৃহবধূ নিজ বসত ঘরের চালের বর্গার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মৃত্যু বরণ করেন৷
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই গৃহবধূ তার শ্বাশুড়ির সাথে দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন৷ এরপর বিকেল ৫ টায় তার স্বামী শওকত মিয়া বাহির থেকে আসলে স্বামী স্ত্রী স্বাভাবিক আলাপ চারিতা শেষে স্বামী হাওড়ে মাছ ধরতে চলে যান। এবং শাশুড়ী তার শিশুপুত্রের জন্য ঔষধ আনতে বাজারে গেলে সবার অগোচরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেন৷ এরপর শাশুড়ী বাজার থেকে ফিরে এসে তার পুত্রবধূকে শয়ন কক্ষে ঘরের চালের বর্গার সাথে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে আশপাশ হইতে লোকজন ঝড়ো হয়। প্রতিবেশির সহায়তায় লাশ নামিয়ে তার স্বামী সহ স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এর কাছে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে৷
তবে পুলিশ জানিয়েছে, শুরবাড়ির নির্যাতনের কারণেই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেছেন তার পরিবার৷
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোক্তাদির হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।