ঢাকা, শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৫ আগস্টের পর জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠেনি: ডা. শফিকুর রহমান

মারুফ কবীর, যশোর | প্রকাশের সময় : শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৪২:০০ পূর্বাহ্ন | রাজনীতি
পথসভায় জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবে আমাদের কোনো কৃতিত্ব নেই। সমস্ত কর্তৃত্ব সৃষ্টিকর্তার। এই জন্য এই বিপ্লব, এই বিজয়ের পর আমরা কোনো উল্লাস করেনি। আমরা দেশবাসী, সহকর্মীকে বিশেষভাবে অনুরাধ করেছিলাম, আপনারা সৃষ্টিকর্তার জন্য সেজদাতে পড়ুন, চোখের পানি দিয়ে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন। এই কারণে ৫ আগস্টের পর দেশের কোনো প্রান্তে জামায়াত শিবিরের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠেনি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শুধু বয়স্করা যুদ্ধ করেনি। সবাই মিলে যুদ্ধ করেছে। কোলের শিশু, ৮০ বছরের বৃদ্ধও শাহাদৎবরণ করেছে। একই সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। আমাদের এই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। এই ঐক্যের কোন ফাঁক দিয়ে যেন কেউ ঢুকে ঐক্য বিনষ্ট করতে না পারে। এই জন্য ছাত্রজনতাসহ সকল জনগণকে সজাগ থাকতে হবে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে যশোর শহরের চাঁচড়া চেকপোস্ট মোড়ে পথসভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।

জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পতিত সরকারের আমলে সবচেয়ে মজলুম দল ছিলো জামায়াতে ইসলামী। বিপ্লবের পরেও আমরা উল্লাসে ফেটে পড়েনি। সবাইকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলাম। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী নির্দেশনা মেনে চলেছেন। দেশের কোন প্রান্তের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আজও কোনো অভিযোগ আসেনি। যারা আমাদের উপর ফ্যাসিবাদের থাবা বিস্তার করেছিলেন। এক নাগাড়ে সাড়ে ১৫ বছর তাণ্ডব চালিয়েছিলেন। যারা মানুষকে খুন, গুম লুন্ঠন করেছিলেন, যারা মানুষের ইজ্জত লুন্ঠন করেছেন, যারা বাংলাদেশের সম্পদ লুন্ঠন করে বিদেশের পাঠিয়ে প্রসাদ তৈরি করেছেন; তাদেরকে আমরা ক্ষমা করবো না। তাদের প্রত্যেকের অপরাধের বিচার করতে হবে। তবে দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামী সবচেয়ে মজলুম দল। এই দলের শীর্ষ নেতাদের বিচারের নামে হত্যা করা হয়েছে।

যশোর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুলের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন যশোর এমএম কলেজের সাবেক ভিপি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের, অ্যাডভোকেট গাজী এনামুল হক, মাওলানা আবু জাফর, গোলাম কুদ্দুস, মাওলানা আশরাফ আলী আব্দুল হক, মাওলনা ইসামাইল হোসেন, আবু ফয়সাল প্রমুখ। পথসভা পরিচালনা করেন নূর-ই-আলী আল মামুন। 

বক্তব্য শেষে  শহরের খোলাডাঙ্গা বাজারে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত জামায়াত কর্মী আমিরুল ইসলাম সজলের সন্তানকে বুকে টেনে নেন ডাক্তার শফিকুর রহমান। এরপর দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। 

 

 

বায়ান্ন/প্রতিনিধি/পিএ