প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। গত ২৪ আগস্ট ঢাকায় একটি আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়। এই মামলায় অপু ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সমালোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম ও জাহিদুল ইসলাম আপনকে।
প্রযোজক সিমির দাবি, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু উপায় না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
অপুর বিশ্বাসের চ্যানেলগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আপন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছর আগস্টে বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি। তাই বাধ্য হয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। যেখানে আসামি করা হয় অপু ও আপনকে।
বিষয়টি জানতে পেরে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। জানানো হয় অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এটি চাওয়া হয়েছে। দর কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় বিবাদী হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম। টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, তার চ্যানেলে থাকা ভিডিওগুলো নেই।
বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু কোনো সমাধান না হওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি।
মামলা প্রসঙ্গে সিমি ইসলাম কলি গণমাধ্যমকে বলেন, এই চ্যানেলটি নিয়ে বহুদিন ধরেই আমি অপুর কাছে গিয়েছি। চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেয়ার জন্য তাকে বহুবার অনুরোধ করেছি। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমি খসরু (প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু) ভাইকেও বলেছি। সেও আমার হয়ে অপুর সঙ্গে কথা বলেছে। তার কথাও সে রাখেনি। এর মধ্যে একদিন হিরো আলম আমাকে ফোন করে বলে, সে বিষয়টি সমাধান করে দেবেন। কিন্তু সেই সমাধান আর হয়নি।
বায়ান্ন/একে