পেস সহায়ক অ্যান্টিগার উইকেটে নতুন বলের বাড়তি সুবিধা কাজে লাগিয়ে ভালো সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের দ্রুত ব্রেকথ্রু এবং শেষ সেশনে বোলারদের ঝলকে দিনের শেষে স্বস্তির প্রাপ্তি ছিল টাইগার শিবিরের।
টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দিনের খেলা শেষে ৮৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান করেছে স্বাগতিক দল। বৃষ্টির কারণে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকার পর আলোকস্বল্পতার কারণে আম্পায়াররা আগেভাগেই দিনের খেলা শেষ করেন।
শুরুতে হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম দুই প্রান্ত থেকে মেডেন ওভারে আক্রমণ শুরু করেন। তবে প্রথম ব্রেকথ্রু আসে তাসকিন আহমেদের হাত ধরে। ইনিংসের অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে ১৪তম ওভারে অধিনায়ক কার্লোস ব্রাথওয়েটকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়ে দেন তিনি। রিভিউ নিয়েও নিজেকে বাঁচাতে পারেননি ব্রাথওয়েট।
এরপর তাসকিন ফেরান কেসি কার্টিকে। লেগ-স্টাম্প বরাবর লেংথ ডেলিভারিতে ফ্লিক করতে গিয়ে লিডিং এজ হয়ে ক্যাচ তুলে দেন মিড-অনে থাকা তাইজুল ইসলামের হাতে। দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে ক্যারিবিয়ানরা।
লুইস ও কেভম হজের ৫৯ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়। তবে হজ রান আউট হয়ে ফিরে গেলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর লুইস ও অ্যালিক আথানজের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২২১ বলে ১৪০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে দুজনেই সেঞ্চুরির পথে ছিলেন।
মিরাজের বলে লুইস (৯৭) স্লিপে শাহাদাত হোসেন দিপুর হাতে ক্যাচ দিলে ভাঙে এই ভয়ংকর জুটি। এরপর তাইজুল ইসলামের বলে আথানজে (৯০) উইকেটরক্ষক লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
দিন শেষে ৩ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটারের বিদায়ে কিছুটা হলেও লড়াইয়ে ফেরার আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন বলের সঠিক ব্যবহার এবং শেষ সেশনে কার্যকর বোলিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ৫টি উইকেট তুলে নেওয়া বাংলাদেশের বোলারদের জন্য স্বস্তির। তবে পরের দিন বোলারদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স নিশ্চিত করাই হবে মূল চ্যালেঞ্জ।
বায়ান্ন/এএস