ঢাকা, শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১

আটককৃত শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনলেন জাবির চার অধ্যাপক, নিস্ক্রিয় প্রক্টর

জাবি প্রতিনিধি : | প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার ১ অগাস্ট ২০২৪ ০৮:০০:০০ অপরাহ্ন | শিক্ষা
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ততার অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আটককৃত ৮ শিক্ষার্থীকে ছাড়িয়ে এনেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চার শিক্ষক। তবে শিক্ষার্থী আটকের বিষয়টি জেনেও কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে।
 
বুধবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর, গেরুয়া, আমবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিক্ষার্থীদের আটক করে পুলিশ। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ছাড়িয়ে আনেন শিক্ষকরা।
 
শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে আনা চার শিক্ষক হলেন- প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ তারেক চৌধুরী, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ অধ্যয়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান এবং চারুকলা বিভাগের প্রভাষক অসীম চন্দ্র রায়।
 
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ইসলামনগর, গেরুয়া, আমবাগান এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন বর্তমান শিক্ষার্থী ও ৩ জন সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। শিক্ষার্থীদের আটকের বিষয়টি জানতে পেরে ঢাকা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ছাড়িয়ে আনেন শিক্ষকরা।
 
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, বিকেলে আমাদের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে জানতে পারি যে আমাদের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পুলিশ আটক করেছে। তখন আমি ঢাকা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। এরপর ৭টার দিকে পুলিশ আমাকে পানধোয়া এলাকায় যেতে বলে। সেখানে গেলে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, বিকেল ৪টার দিকে পুলিশের সঙ্গে আমার কথা হয়। তারা জানিয়েছিল যে শিক্ষার্থীদের কাউকে আটক করা হবে না। পরে ৬টার দিকে আমি জানতে পারি যে, কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তখন কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পরবর্তীতে কর্মচারীদের থেকে জানতে পারি যে শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
 
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আইনি সহায়তা প্রদানের জন্য যে প্রশাসন কর্তৃক মোবাইল নাম্বার প্রদান করা হলেও তা বেশিরভাগ সময়ই ব্যস্ত পাওয়া যায়।