সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার মিশন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় চতুর্থ পর্যায়ের ৭টি গৃহহীনদের মাঝে দলিল তুলে দেওয়া হয়। উপকারভোগীরা এ ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়েছে অনেক ভূমিহীন ও গৃহহীনরা যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিলো না। আজ তারা ২ শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর শেষে অনেক খুশি হয়েছেন চোখে মুখে আনন্দ।
বুধবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জমিসহ ঘর বিতরণের উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাবের মোঃ সোয়াইব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল উদ্দিন এমএ,বান্দরবান জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দুংড়ি মং মার্মা,আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি নাছির উদ্দীন সরকার,উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার রোকসানা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ,৪ ইউপি চেয়ারম্যানগণ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
উপকারীভোগী স্বামীহীন ফাতেমা বেগম বলেন, একটা সময় আমার জমি ছিলো,ভালো ঘর ছিলো না,এখন আমার আর অন্যের বাড়িতে থাকতে হবে না। ২ শতাংশ জমির একটি পাকা ঘর পেয়েছি, খেয়ে থাকি আর না খেয়ে থাকি, দিন শেষে নিজের ঘরে ঘুমোতে পারবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহ দীর্ঘদিন বাঁচায়ে রাখুক তাঁর জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করি।
মাচাং ঘর পাওয়া আচাইমে মার্মানী বলেন, আগে মানুষের বাড়িতে সারাদিন কাজ করে আমি বাসায় গেলে মাথা গোঁজার তাই ছিলো না। ইউএনও স্যার একটি সরকারি ঘর করে দিয়েছে আমাকে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,কোনদিন ভাবিনি এত সুন্দর মাচাং ঘরে ঘুমোতে পারবো। এখন ইউএনও স্যার একটি মাচাং ঘর আমার নামে দিয়েছে এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। শুনেছি এই ঘর আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপহার দিয়েছে। নিজে আমি তার জন্য আর্শীবাদ করবো সারাজীবন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাবের মোঃ সোয়াইব বলেন, মুজির শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে আলীকদম উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ৭ টি ঘর প্রদান করা হয়েছে।