বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আল বলেছেন, আগুন শুধুমাত্র আমাদের দুই সহযোদ্ধা আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামের রুমে লাগানো হয়েছে। সেখানে কুকুরের মরদেহ প্রমাণ করে এটি ষড়যন্ত্র। গণঅভ্যুত্থানের আগে কিছু আমলা নামক দাস ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় স্লোগান দিয়েছে হাসিনার পক্ষে। তারা এখনো সচিবালয়ে চাকরি করে, তাহলে সচিবালয় কিভাবে নিরাপদ থাকবে। তাদের চেয়ারে বসিয়ে রাখলে তাদের দায়িত্ব সুষ্ঠু ভাবে পাওয়া সম্ভব না। সে কারণে এখন অপকর্ম হচ্ছে, দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাব হলরুমে জাতীয় নাগরিক কমিটির ‘ঠাকুরগাঁও রাইজিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আগে ঠাকুরগাঁওয়ের শিক্ষার্থীদের মিছিল দেখে আমাদের শরীর শিউরে উঠেছে অথচ সেটাকে পুঁজি করে মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি হচ্ছে। মামলায় নাম দেওয়ার সময় টাকা, আবার মামলা থেকে নাম কাটার সময় টাকা নেওয়া হচ্ছে। বড় বড় ব্যবসায়ীদের বাসায় ডেকে নিয়ে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। এসবের জন্য এত মানুষ শহীদ হয়নি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের আগে যদি বলা যেত দুই-তিন বছর সংস্কারের জন্য সময় দিতে হবে তাহলে শুধু রাজনৈতিক দল না একজন সাধারণ মানুষও দ্বিমত করতেন না। আবার নির্বাচনের সময়কে দীর্ঘ করে দেশকে নাজুক পরিস্থিতিতে নিয়ে যাওয়া যাবে না। গণঅভ্যুত্থানের এখনো ৫ মাস পার হয়নি। সরকারকে স্ট্যান্ডার্ড সংস্কারের সময় ও সুযোগ দিতে হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির ব্যাপারে তিনি বলেন,এটি কোন রাজনৈতিক দল নয় এটি একটি রাজনৈতিক শক্তি। সবাই অনুভব করে নতুন কিছু দরকার। বাংলাদেশের লিডারশিপগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। আগামীতে ডিমান্ড অনুযায়ী দক্ষ নেতৃত্ব তৈরির প্ল্যাটফরম হিসেবে কাজ করবে নাগরিক কমিটি। এসব নেতৃত্ব আগামীর বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।
বায়ান্ন/এসবি